হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তালেবমোড় সংলগ্ন সানিয়াজান নদী ও তিস্তা নদীর তীরবর্তী দুটি গ্রাম নিজ গড্ডিমারী ও চর গড্ডিমারী।
যোগাযোগ ব্যবস্থার কারনে এখানকার লোকজন উপজেলার অন্যান্য এলাকা থেকে পিছিয়ে।এ গ্রামের ছেলে মেয়েরা ঝুঁকি নিয়ে নিজেরাই নৌকা বেয়ে স্কুলে আসা যাওয়া করে।
বিশেষ করে মেয়েরা নিজেরাই মাঝি সেজে নৌকায় স্কুলে চলাফেরা করে থাকে। ওই এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে এমনেই দৃশ্য চোখে পড়ে।
ওখানকার লোকজনের চলাচলের একমাত্র ভরসা নৌকা। ওই দুই গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীরা নৌকায় যাওয়া আসাসহ, কেনাকাটা, চিকিৎসা সেবা নিতেও নদী পার হতে হয়। যা তাদের জীবনের জন্য ঝৃঁকিপূর্ন।বর্ষা মৌসূমে তাদের দূভোর্গের অন্ত থাকেনা।অথচ ওই নদীর ওপরে একটি সেতু থাকলে কষ্ট লাঘব হবে এবং পাল্টে যাবে সেখানকার দৃশ্যপট।
নিজ গড্ডিমারী গ্রামের রোজিনা আক্তার(১২) গড্ডিমারী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, এখানকার শিক্ষার্থীদের নৌকায় নদী পার হয়ে স্কুলে যাতায়াতসহ সব ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয়। মাঝে মাঝে মাঝি না থাকলে নিজেরাই নৌকা বেয়ে নদী দিয়ে চলাফেরা করি।
বর্ষা মৌসুমে সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয়।ওর সহপাঠি রেহেনা আক্তার(১২) ও আহিলা খাতুন(১২) একই অভিমত ব্যক্ত করেন।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান বলেন ওই এলাকার লোকজনের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বারংবার চেষ্টার ফলে একটি ব্রীজের বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
ব্রীজটির কাজ শুরু হওয়ার পথে। উপজেলা প্রকৌশলী অজয় কুমার সরকার বলেন, উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের তালেব মোড়ের পশ্চিম পার্শ্বে সানিয়াজান নদীর ওপর সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ২শ’ ২০ মিটার দৈর্ঘ্য একটি ব্রীজের কাজ কয়েকদিনের মধ্যে শুরু হবে।
ব্রীজটির কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে ওই এলাকার দৃশ্যপট। তাদের অর্থনৈতিক ও জীবনমান উন্নয়ন, শিক্ষা-দীক্ষাসহ সবদিক দিয়ে তারা এগিয়ে যাবে।