ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে দশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলায় অন্য আসামিদে দেয়া সাজা বহাল রয়েছে। এই নিয়ে দুই মামলায় বেগম জিয়া সাজা হল ১৭ বছর।
আজ মঙ্গলবার সকালে বিচার এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে ২৩শে অক্টোবর এ মামলায় দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি শেষ হয়। শুনানিতে বিএনপির চেয়ারপারসনের দণ্ড বাড়িয়ে যাবজ্জীবন সাজার আর্জি জানান দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে বিচারিক আদালতের দেয়া সাজা বহাল চান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান, এ জে মোহাম্মদ আলী। গত ১২ই জুলাই থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয়।
হাইকোর্টে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার বিচারিক কার্যক্রম ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। তবে, আরো সময় চেয়ে আবেদন করা হলে গতকাল খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের এ আবেদন নাকচ করেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত সর্বোচ্চ আদালত।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছর কারাদণ্ড দেন আদালতের বিচারক। এছাড়া মামলার অন্য আসামি খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, বিএনপিদলীয় মাগুরার সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে দণ্ড থেকে খালাস ও জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাজা বাড়ানোর আবেদন করেন দুদকের আইনজীবী। পাশাপাশি এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ও কারাগারে থাকা অন্য আসামিরাও সাজা থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন। গত ২২শে ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে তার অর্থদণ্ড স্থগিত করে হাইকোর্টের এই বেঞ্চ।