ব্যান্ডসংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুকে চট্টগ্রামে মায়ের কবরের পাশে তাঁকে শায়িত করা হয়েছে। চৈতন্য গলি কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে আইয়ুব বাচ্চুর শেষ ঠিকানা হলো। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
চট্টগ্রামে হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর জানাজা শেষ হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে জানাজায় অংশ নিতে সাধারণ মানুষের ঢল নামে জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ প্রাঙ্গণে।
আসরের নামাজের পর তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বেলা তিনটা থেকে মসজিদ প্রাঙ্গণে রাখা আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহে ফুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁর ভক্ত আর শুভানুধ্যায়ীরা। ফুলে ফুলে ডেকে যায় মরদেহের কফিনটি। ভক্ত, সাধারণ মানুষ, রাজনীতিবিদ, শিল্পী, সাহিত্যিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সেখানে ভিড় করেন।
একপর্যায়ে মসজিদের মাঠ ছাপিয়ে পাশের সড়কে চলে যায় ভিড়। যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় ওয়াসা-আলমাস মোড় সড়কে। জানাজায় অংশ নিতে এসে অনেকে আইয়ুব বাচ্চুর বিভিন্ন কনসার্ট ও গানের স্মৃতিচারণা করেন। অনেকের চোখের কোনা ভিজে ওঠে। সরওয়ার হোসেন নামে এক যুবক বলেন, ‘আইয়ুব বাচ্চুর গান তারুণ্যের প্রতীক। প্রেমের প্রতীক। এ দেশের তরুণ-তরুণীরা তাঁর গান শুনে প্রেম করেছে। বিরহের সময়ও আইয়ুব বাচ্চুর গানকে সঙ্গী করেছে। তিনি মরে গেলেও তাঁর গান বেঁচে থাকবে।’
এর আগে সকালে ঢাকা থেকে একটি বিমানযোগে আইয়ুব বাচ্চুর লাশ চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় পূর্ব মাদারবাড়িতে আইয়ুব বাচ্চুর নানাবাড়িতে। সেখানেও স্বজন ও ভক্তরা ভিড় করেন। এরপর মাদারবাড়ি থেকে লাশ জানাজার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে। জানাজা শেষে নগরের চৈতন্য গলি কবরস্থানে মায়ের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
এদিকে আইয়ুব বাচ্চুর নামে চট্টগ্রামে একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কের নামকরণ করা হবে। আগামীকাল রোববার সাধারণ সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। নাছির উদ্দীন বলেন, একটি সড়ক তাঁর নামে করা হবে। এ ছাড়া মুসলিম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনের সংস্কারকাজ শেষে ‘মুসলিম’ শব্দটি অক্ষুণ্ন রেখে পুরো হল অথবা এর কোনো একটি অংশ আইয়ুব বাচ্চুর নামে করার প্রস্তাব সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু মৃত্যুবরণ করেন।