এক সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে, পুরুষরা নাকি মেয়েদের চেয়ে বেশি বোকা। নর্থ-ইস্ট ইংল্যান্ডের গবেষকরা লিঙ্গভেদে বোকার মতো ঝুঁকি নেওয়া বা কাজ করার বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষকরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে দেখেছেন, এ বিষয়ে পুরুষরা নারীদের চেয়ে অনেক বেশি এগিয়ে।
১৯৯৫ সালে থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ২০ বছর ধরে বোকার মতো আচরণ করেন এমন মানুষদের পর্যবেক্ষণ করে ডারউইন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। তারা কাজ করতে গিয়ে অদ্ভুত বোকামির পরিচয় দেন। যে ধরনের কাজ করে পুরুষরা মনোনীত হয়েছেন, তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মনোনয়নগুলো হলো- মাত্র দুই মাইল পাড়ি দেওয়ার জন্য এক পুরুষ ট্রেনের পেছনে একটি শপিং ট্রলি জুড়ে দিয়ে তাতে আরামে বসেছিলেন। ট্রেন থামার সময় কি অবস্থা হবে তার, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। আরেক সন্ত্রাসী ‘পত্র বোমা’ বানিয়ে পা ডাকযোগে পাঠাতে চেয়েছেন সঠিকভাবে টিকেট না বসিয়ে। পরে সেই চিঠি ফেরত আসলে তার একটি নিজেই খুলে বসলেন।
ডারউইন অ্যাওয়ার্ডের জন্য ৪১৩টি মনোনয়নের মধ্যে ৩৩২টি কমিটি কর্তৃক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি মনোনয়ন পেয়েছেন নারী-পুরুষ মিলিতভাবে। আর ৩১৮টি মনোনয়মের মধ্যে ২৮২টি পেয়েছেন পুরুষরা। আর ৩৬টি মনোনয়ন ছিল নারীদের দখলে। বোকামির এই প্রতিযোগিতায় ছেলেরা ৮৮.৭ শতাংশ পুরস্কারের মনোনয়ন পায়।
এ থেকে গবেষকরা এ সিদ্ধান্তে আসেন যে, পুরুষরা নারীদের চেয়ে বেশি বোকামির কাজ করেন। এর একটি কারণ হলো, পুরুষরা কাজ করতে গিয়ে অপ্রয়োজনীয় এবং কাজ হবে না এমন উপায় গ্রহণ করেন। এতে করে সমাজে তাদের বোকামির ফসল দিন দিন বেড়েই চলে।