চট্টগ্রাম: ব্যান্ডসংগীতের কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ আজ শনিবার সকালে আকাশপথে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে। সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে আসা ইউএস বাংলার উড়োজাহাজটি অবতরণ করে। বিমানবন্দরে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ গ্রহণ করেছেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন। আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহের সঙ্গে ঢাকা থেকে গেছেন তাঁর স্ত্রী, ছেলেমেয়ে আর স্বজনেরা।
এলআরবির ব্যবস্থাপক শামীম এখন আছেন চট্টগ্রামে। সেখান থেকে তিনি আরও জানান, বিমানবন্দর থেকে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম শহরের পূর্ব মাদারবাড়িতে। সেখানে নানার বাড়িতে বড় হয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বাদ আসর এখানে জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদ মাঠে তাঁর চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বেলা তিনটা থেকে চারটা পর্যন্ত এই মসজিদের মাঠে রাখা হবে প্রয়াত এই শিল্পীর মরদেহ। এখানে তাঁর প্রতি সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবেন। সন্ধ্যায় তাঁকে চৈতন্য গলি কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
তবে শামীম বললেন, ‘এখানে পুরো ব্যাপারটি দেখাশোনা করছেন চট্টগ্রামের মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দীন। তাঁরা আর কোনো পরিকল্পনা করেছেন কি না, তা জানা যায়নি।’
এদিকে গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে আহনাফ তাজওয়ার কানাডা থেকে আর মেয়ে ফাইরুজ সাফরা রাত দেড়টায় অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন। এরপর বিমানবন্দর থেকে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে। সেখানে শব হিমঘরে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ রাখা হয়। এ সময় তাঁদের সঙ্গে আরও ছিলেন আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার। বাবার মরদেহ দেখে ছেলেমেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
গত বৃহস্পতিবার সকালে না–ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে মরদেহ নেওয়া হয় তাঁর গানের স্টুডিও মগবাজারে ‘এবি কিচেনে’। সেখানে তাঁর দ্বিতীয় জানাজা হয়। এরপর মরদেহ নেওয়া হয় চ্যানেল আই কার্যালয়ে। সেখানে তৃতীয় জানাজা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর মরদেহ রাখা হয় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য।