ভারতের দিল্লিতে সম্প্রতি এক ‘আশ্চর্যকর’ ঘটনা ঘটেছে। বন্দুক আসল প্রমাণ করতে গিয়ে প্রাণ গেছে নিতস্তির নামের এক তরুণীর।
এ ব্যাপারে পুলিশ জানায়, স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী হাসপাতাল থেকে দিল্লি পুলিশের কাছে একটি ফোন আসে। বলা হয়, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে এক তরুণীকে ভর্তি করা হয়েছে। নিতস্তি নামের ওই তরুণী অসুস্থ বলে দাবি করেন তার ৩-৪ জন বন্ধু। চিকিৎসকরা কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই মেয়েটির মৃত্যু হয়।
এদিকে পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর জানা যায়, মেয়েটির পেটে গুলি লেগেছিল। এছাড়াও শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ ধারণা করে এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। ঘটনার তদন্তে নেমে সানি নামের এক ছেলেকে আটক করে দিল্লি পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পরই উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য।
হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে সানি জানায়, উষা নামের এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল সে। সেখানেই পরিচয় হয় নিতস্তি নামের ওই তরুণীর সঙ্গে। সানির কাছে বন্দুকটি দেখে তাকে প্রশ্ন করেন, সেটি আসল কিনা। সানি বারবার বন্দুকটি আসল বলে দাবি করলেও তা বিশ্বাস করেনি নিতস্তি।
শেষে বন্দুকটি যে আসল তা প্রমাণ করার জন্যই তরুণীকে গুলি করে দেয় সানি। সানির পাশাপাশি যার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছিল সেই উষাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।