যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটেই খুন হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে রিয়াদ। কিলঘুষি-মারামারিতে খাশোগি প্রাণ হারিয়েছেন বলে তারা দাবি করছে।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি এতোদিন অস্বীকার করলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের চাপে এবার সৌদি বলছে, সাংবাদিক জামাল খাশোগি ও কনস্যুলেট কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার একপর্যায়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এ ঘটনায় সৌদি গোয়েন্দা সংস্থার ডেপুটি প্রধানসহ পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি সৌদির ১৮ ‘নাগরিক’কে আটক করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা এ সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রথম থেকে সৌদি আরব অস্বীকার করলেও তুরস্কের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বলছেন, আমাদের হাতে থাকা অডিও বার্তা ইঙ্গিত করে ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যার বিষয়ে তদন্ত নতুন মোড় নেয়।
এর আগে ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছেন রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক ও সাংবাদিক জামাল খাশোগি। কনস্যুলেটে প্রবেশের পর খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছিলো।