ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের লক্ষ্য ও দাবির বিষয়ে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পর বেরিয়ে আসছেন ড. কামাল হোসেন। ঢাকা, ১৮ অক্টোবর। ছবি: সাজিদ হোসেন
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের লক্ষ্য ও দাবির বিষয়ে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পর বেরিয়ে আসছেন ড. কামাল হোসেন। ঢাকা, ১৮ অক্টোবর। ছবি: সাজিদ হোসেন
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে বৈঠকে কূটনীতিকেরা জানতে চেয়েছেন জোটে জামায়াত ইসলামীর অবস্থান কী? ঐক্যফ্রন্ট ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন এবং বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার মুক্তি না হলে কী হবে? এবং জোটের নেতৃত্বে কে থাকবেন?
কূটনীতিকদের এসব প্রশ্নের জবাব দেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ড. কামাল হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটা থেকে সোয়া চারটা পর্যন্ত রাজধানীর হোটেল লেকশোরে কূটনীতিকদের ব্রিফ করেন নবগঠিত ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৈঠকের শুরুতে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা ও ১১ লক্ষ্যের বিষয়ে কূটনীতিকদের অবহিত করেন। এ সময় কামাল হোসেনই কূটনীতিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইইউভুক্ত দেশগুলোসহ প্রায় ৩০টি দেশের কূটনীতিক ও তাঁদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, বৈঠকে কূটনীতিকরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতে চান। জোটের সম্প্রসারণের এবং জামায়াতের ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কি জানতে চান কূটনীতিকরা। জবাবে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা জানান, জামায়াত বাদে সব দলকেই তাঁরা স্বাগত জানাবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে প্রধানমন্ত্রী কে হতে পারেন সে সম্পর্কে কূটনীতিকরা জানতে চান। এ ব্যাপারে ওই সূত্র বলেন, কামাল হোসেন এ প্রশ্নের উত্তরে কূটনীতিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিষয়টি নির্বাচিত সংসদ ঠিক করবে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার প্রথম দফায় আছে খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। বৈঠক সূত্রে জানা যায়, এ প্রসঙ্গেও কূটনীতিকরা জানতে চান যে খালেদা জিয়াসহ অন্যদের মুক্তি না হলে ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কী হবে। এ প্রশ্নের জবাবে কামাল হোসেন তাঁদের জানান, নির্বাচনের আগে ঐক্যফ্রন্ট একটি সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ চান। তারা খালেদাসহ সব রাজবন্দীদের মুক্তি চান।
আর নতুন জোট চলবে যৌথ নেতৃত্বে বলে জানান নেতারা।
কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ, নজরুল ইসলাম খান, মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন, জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব, তাঁর স্ত্রী তানিয়া রব, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, কার্যকরী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।