নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে কর্ণফুলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং কার্যক্রম। বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীর অধীনে ৪২ লাখ ঘনমিটার খননের লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে ই-ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরীর বাকলিয়া ক্ষেত্রচর সংলগ্ন এলাকায় ড্রেজিং শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রায় পাঁচ বছর পর কর্ণফুলীর এই ড্রেজিং প্রকল্পের জন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ২৪২ কোটি টাকা খরচ করবে বলে জানা গেছে।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের জন্য ইতিমধ্যে হল্যান্ড থেকে ১৩০ কোটি টাকার ড্রেজার ও অন্যান্য সরঞ্জাম আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ২টি নতুন আইএইচসি ড্রেজার রয়েছে। এছাড়া ৫ কিলোমিটার দূরত্বে খনন করা মাটি ফেলার জন্য আনা হয়েছে ৫০০ মিলিমিটার ব্যাসের রাবারের এইচডিপিই পাইপ, ফ্লোটার, রাবার হোস পাইপ ইত্যাদি।
প্রকল্প পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম জানান বলেন, চার বছরে সম্পূর্ণ কাজটি শেষ হবে। শাহ আমানত সেতুর পশ্চিম পাশে আমাদের অধীনে ড্রেজিং করবে চায়না হারবার লিমিটেড। বর্তমানে ৫০ জন কর্মী কাজ করছেন। পর্যায়ক্রমে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ানো হবে।
আবহাওয়ার স্বাভাবিক থাকলে আমরা ড্রেজারগুলো দৈনিক ১০-১২ ঘণ্টা সক্রিয় রাখব।
এদিকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চিফ হাইড্রোগ্রাফার কমান্ডার এম আরিফুর রহমান বলেন, দেশের লাইফ লাইন চট্টগ্রাম বন্দরের প্রাণ হচ্ছে কর্ণফুলী নদী। ফলে বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় নিয়মিত খননের পাশাপাশি প্রয়োজন পড়ে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের। বছরের পর বছর ৬৫ লাখ মানুষের এ নগরের অপরিশোধিত বর্জ্য, পাহাড়ি বালু, পলিথিন-প্লাস্টিকে ভরা নদীর তলদেশে ড্রেজিংয়ে কিছুটা অসুবিধা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী ‘সদরঘাট টু বাকলিয়া চর ড্রেজিং’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন। মূলত গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের জুলাইতে ২২৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় ক্যাপিটাল ড্রেজিং ও ব্যাংক প্রটেকশন প্রকল্পের কাজ শুরু করে মালয়েশিয়ার মেরিটাইম অ্যান্ড ড্রেজিং করপোরেশন। সদরঘাট এলাকায় লাইটার জেটি নির্মাণসহ কিছু কাজ করলেও ২০১৩ সালে আগস্টে পুরো কাজ না করেই চলে যায় মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এজেন্ট প্যাসিফিক মেরিন সার্ভিসেস। এরপর ২০১৪ সালের জুলাইতে বন্দর কর্তৃপক্ষ চুক্তি বাতিল করে। এরপর থেকে নানা মহল থেকে দাবি ওঠে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের। অবশেষ সেই দাবি বাস্তবায়ন হতে চলেছে।