বোধনের ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে খুলনায় শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। জেলার ৯৭৩টি মন্ডপে এবার শারদীয়া দুর্গা পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
যা’ গত বছরের চেয়ে ২৯টি বেশী।
আজ রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, খুলনায় চলছে পূজা উদযাপনের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। প্রতিমার রঙ তুলি ও অঙ্গসজ্জার কাজ শেষ হয়েছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন পূজারী ও আয়োজকরা। মহানগরী ও আশেপাশের মন্দিরগুলোতে করা হয়েছে নান্দনিক আলোকসজ্জা ও দৃষ্টিনন্দন তোরণ।
মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রশান্ত কুন্ডুু বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসব হচ্ছে সার্বজনীন। আজ মহাষষ্ঠীতে অভিষেক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পূজার কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি বলেন, এ উৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আনসার সদস্য ও পূজা কমিটির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন। ভক্তরা উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করবেন।
জানা যায়, এবার খুলনা সদর থানায় ২৩টি, সোনাডাঙ্গা থানায় ১২টি, খালিশপুরে ১০টি, দৌলতপুর থানায় ২১টি, খানজাহান আলী থানায় ১০টি, হরিণটানায় ৫টি, লবণচরায় ৯টি ও আড়ংঘাটা থানায় ৩৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র (মিডিয়া) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোনালী সেন বলেন, মন্দিরগুলোকে ঘিরে তিনস্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নেওয়া হয়েছে। সার্বক্ষণিক পুলিশ ও আনসার মোতায়েনসহ নিয়মত টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।