শীতের তীব্রতায় দিনাজপুরে মানুষজন কাজ করতে পারছেন না। আর এ শীতের প্রকোপে ঠাণ্ডাজনিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। শীতে আক্রান্ত হয়ে শনিবার এক শিশু মারা গেছে।
হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত দিনাজপুর জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে শীতের প্রকোপ। সেই সঙ্গে বাড়ছে ঘন কুয়াশার প্রভাব। এতে করে দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলের জেলা দিনাজপুরে একটু আগেভাগেই শীতের প্রভাব দেখা দিয়েছে। তবে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে শীতের আগমন দেরিতে হলেও ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে শীতের প্রভাব। বিকেলের পর সূর্য দেখা মিলছে না, আর ঘন কুয়াশায় রাত নামছে বিকেল থেকেই। যার কারণে বিকেল থেকে পরের দিন সকাল ১০টা পর্যন্ত লোকজনকে দেখা যায় না বাড়ির বাইরে।
শীতে সাধারণ মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা। কাজে যেতে পারছেন না কৃষকরা। আর এ শীতের কারণে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে।
কৃষকেরা জানান, ধান কাটা-মাড়ার মৌসুম ও বোরো বীজ বপনের মৌসুম হলেও প্রচণ্ড শীতে কাজে যেতে পারছেন না তারা। শীতের তীব্রতায় কাজে নামতে না পারায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
আবহাওয়া কর্মকর্তা রবিন আহম্মেদ জানিয়েছেন, গত কয়েক দিন ধরেই জেলায় তাপমাত্রা কমেছে। তবে গতকালের চেয়ে আজকের তাপমাত্রা একটু বেশি। দিনের বেলাতে তাপমাত্রা বাড়লেও রাতে শীতের তীব্রতা বাড়বে।