টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নাগরিক কমিটির স্বতন্ত্র প্রার্থী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ছোট ভাই আলহাজ্ব মুরাদ সিদ্দিকী বলেছেন, বঙ্গবন্ধু মানেই আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগ মানেই বঙ্গবন্ধু। আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে আমি আপনাদের দোয়া ও ভোট প্রার্থী। টাঙ্গাইল জেলায় অনেক উন্নয়ন হলেও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে অযোগ্য নেতৃত্বের কারণে জনগণের প্রত্যাশীত সেই উন্নয়ন হয়নি। আমি নির্বাচিত হলে এই এলাকায় উন্নয়ন ও মাদকমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলবো।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর উদ্যানে নাগরিক কমিটি উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে একথা বলেন।
মুরাদ সিদ্দিকী বলেন, ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল হতে মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু ও হত্যাকারীদের বিতারিত করেছি। আগামীতে নির্বাচিত হলে টাঙ্গাইলকে একটি আধুনিক শহরে রুপান্তর করব। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারে হত্যা করা হয়। ওই সময়ে দেশের মানুষ বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করারও সাহস পায়নি। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে তৎকালীন বঙ্গবন্ধুর হত্যার প্রতিবাদসহ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর পরিবারে সাথে আমার পরিবারে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সবুর খান বীর বিক্রম’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন টাঙ্গাইল মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার ফজলুল হক বীরপ্রতিক, মুরাদ সিদ্দিকীর সহধর্মিণী নিহার সিদ্দিকী, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ মামুন খান, সাবেক ছাত্র নেতা নওশাদ আহমেদ নবীন, প্রশান্ত পাল চৌধুরী, আসাদুজ্জামান মনি আরজু, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের চরাঞ্চল ও পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে সকাল থেকেই খন্ড-খন্ড মিছিল নিয়ে পৌর উদ্যানে জমায়েত হতে থাকে নারী-পুরুষসহ হাজার হাজার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পৌর উদ্যান কানায় কানায় ভরে উঠে বিশাল সমাবেশে পরিণত হয়।
সমাবেশে মুরাদ সিদ্দিকী আরো বলেন, বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়েছিলাম। কিন্ত আমার সেই বিজয়কে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। এবার জনগণ প্রত্যেকটা ভোট কেন্দ্র পাহারা দিয়ে তার জবাব দিবে। তিনি বলেন, নির্বাচিত হলে টাঙ্গাইলের অবহেলিত চরাঞ্চলের চরবাসীদের উন্নয়ন, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়ে তুলবো।