ঢাকা: ভারতের ওদিশার দক্ষিণ উপকূলে আজ সকালে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় তিতলি। প্রাণঘাতী এ ঝড়ের আঘাতে প্রতিবেশী অন্ধ্র প্রদেশের দুজন নিহত হয়েছেন। ঝড়ো বাসাত উঁপড়ে ফেলেছে গাছ আর বিদ্যুতের খুঁটি। ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথোরিটি এসব তথ্য জানায়। বঙ্গোপসাগরের ‘তীব্র মাত্রর সাইক্লোন ঝড়’ হিসেবে গণ্য হয়েছে তিতলি। সঙ্গে ছিল তীব্র বৃষ্টি। ওদিশার উপকূলীয় অঞ্চলের তিন লাখের বেশি সংখ্যক মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
সৈকতের আশপাশের এলাকা থেকে সবাকে নিরাপদে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। এখানে তিতলি সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরেছে কর্তৃপক্ষ।
১. ওদিশার গোপালপুরে ভোর সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে আঘাত হানে তিতলি। তীব্র বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার।
২. সাইক্লোন তিতলির কারণে ওদিশা থেকে অন্ধ্র প্রদেশের মধ্যকার সকল বিমান ও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
৩. ওদিশার আটটি ডিস্ট্রিক্ট- গাঞ্জাম, গজপতি, কুদ্রা, পুরি, জাগাস্টসিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভাদ্রাক এবং বারাসোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৪. গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে। এতে বিদ্যুতব্যবস্থা এবং রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া মাটির তৈরির ঘরগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
৫. ওদিশার ৫টি উপকূলীয় শহর থেকে কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে রাজ্য সরকার।
৬. ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে মারাত্মক বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাড়িছাড়া মানুষগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থান দেয়া হয়েছে। গর্ভবতী নারীদের রাখা হয়েছে হাসপাতালে।
৭. ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানায়, এই সাইক্লোনের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানা শেষ হয়েছে। স্থলভাগে রয়েছে এর ‘সেন্টার অব আই অব সাইক্লোন’।
৮. এখন তিতলি পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তবে ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
৯. তীব্র শক্তির এই ঝড়ের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে গোপালপুর এবং পারাদিপের আবহাওয়া রাডারের মাধ্যমে।
১০. মুখ্য মন্ত্রী নাভিন পাটনায়েক বিপদগ্রস্তদের সহায়তা দিতে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন বলে জানিয়েছেন।
সূত্র: এনডিটিভি