১০০ ভাড়া করা নৌকা দিয়ে শেলা নদী থেকে তেল সংগ্রহ শুরু করেছে বনবিভাগ। গ্রামবাসী এবং জেলেরা তেল সংগ্রহ করে তা রাষ্ট্রীয় কম্পানি পদ্মা অয়েলের কাছে প্রতিলিটার ৩০ টাকায় বিক্রি করছে। এই পদ্ধতিতে তেল অপসারণের ফলে সুন্দরবনসংলগ্ন খাল ও নদী থেকে তেলের তেজস্ক্রিয়তা কমে আসবে বলে জানিয়েছে বনবিভাগ।
বনবিভাগের কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ডুবে যাওয়া ট্যাঙ্কার থেকে নদীর ৮০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তেল ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে তেল অপসারণের জন্য রাসায়নিক পদার্থ ছিটানোর কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, ডুবে যাওয়া ট্যাংকারের তেল ছড়িয়ে পড়ায় চার দিনে ক্ষতি যা হওয়ার হয়েছে। সেখানে রাসায়নিক দ্রব্য ছিটানো হলে আরও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে কিনা সেটা ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। ট্যাংকার ডুবে যাওয়ার চার দিনের মাথায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, সাধারণ মানুষের মাধ্যমে নদী থেকে তেল সংগ্রহের অভিযান অব্যাহত থাকবে। গত মঙ্গলবার ভোরে প্রায় ৪০০ মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল নিয়ে অন্য একটি জাহাজের ধাক্কায় তলা ফেটে ডুবে যায় ওটি সাউদান স্টার ৭। এ সময় নিখোঁজ হন ট্যাঙ্কারের মাস্টার মোখলেছুর রহমান। এখনও তার খোঁজ মেলেনি।