ঢাকা: শুভ মহালয়া আজ। দেবীপক্ষের শুরু। শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্নেরও শুরু আজ থেকে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে আগামী ২৮শে আশ্বিন (১৫ই অক্টোবর) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে থেকে দূর্গা পুজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হচ্ছে। শাস্ত্রমতে মহালয়ার মাধ্যমে দেবী দুর্গা আজ মর্ত্যলোকে পা রাখছেন। দেবী দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। বছর ঘুরে আবারও উমা দেবী আসছেন তার বাপের বাড়ি। পুরাণমতে, অশুভ অসুর শক্তির কাছে পরাভূত দেবতারা স্বর্গলোকচ্থ্যত হওয়ার পর চারদিকে শুরু হয় অশুভ শক্তির প্রতাপ।
সেই অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে একত্র হন দেবতারা। তখন দেবতাদের তেজরশ্মি থেকে আবির্ভূত হন অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা। মহালয়ার সময় ঘোর অমাবস্যা থাকে। তখন দুর্গা দেবীর মহাতেজের আলোয় সেই অমাবস্যা দূর হয়। প্রতিষ্ঠা পায় শুভশক্তি। শাস্ত্রমতে, হিমালয়ের কৈলাশ থেকে সুদূর পথ পাড়ি দিয়ে প্রতিবছর দুর্গা দেবী আসেন সমতল ভূমির এই বাংলায়। সঙ্গে নিয়ে আসেন গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে। প্রতিবছরের শরৎকালে দেবী দুর্গার এই আগমন হয় নিজ ভূমিতে। মহালয়া দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও মূলত আজ থেকেই পূজারীরা দুর্গা মায়ের আগমন ধ্বনি শুনতে পাবেন। মহালয়ার দিনে দেব-দেবীকুল দুর্গাপূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। মহালয়ার দিনে গঙ্গাতীরে প্রার্থনা করে ভক্তরা মৃত আত্মীয়স্বজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার মঙ্গল কামনা করেন। আজ ভোর থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে স্থায়ী অস্থায়ী দুর্গা মন্ডপগুলোতে চন্ডীপাঠ ও পূজা অর্চনার মাধ্যমে দুর্গা দেবীকে আহ্বান করা হবে। আজ শুভ মহালয়া উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠান ভোর ৬টায় শুরু হবে। ঘট স্থাপন, চন্ডীপাঠ , পূজা অর্চনা, আরাধনাসহ এ উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের হিসেবে এবার সারা দেশে প্রায় ৩০ হাজার পূজাম-পে দুর্গা পূজা অনুষ্টিত হচ্ছে।