বরিশালের গৌরনদীর হোসনাবাদ বাজারে ইলিশসহ আটক তিন মাছ ব্যবসায়ীর ৫০ হাজার টাকার মাছ চুরির অভিযোগ উঠেছে শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইকবাল কবিরের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সরেজমিন পরিদর্শন করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পান গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রব হাওলাদার।
তিনি বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপারকে জানিয়েছেন। হোসনাবাদ বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত মাছ ব্যবসায়ী দুলাল হাওলাদার, লালচান ভূঁইয়া ও পলাশ বেপারি জানান, প্রতিদিনের মতো জেলেদের কাছ থেকে ইলিশ মাছ কিনে বুধবার ওই বাজারে বিক্রি করে আসেন। ওইদিন শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইকবাল কবিরের নেতৃত্বে ওই বাজারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় প্রায় ৫০ হাজার টাকার ছোট-বড় ইলিশ মাছ জব্দ করে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে তাদের শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ওই মাছ ব্যবসায়ীদের তদন্ত কেন্দ্রের হাজতখানায় আটক রেখে বড় মাছ আলাদা করে লুকিয়ে (চুরি) রাখে। ওই দিন দুপুরে ছোট ইলিশ মাছসহ তাদের উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা নাছরিন ওই সময় ইলিশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় তাদের ছেড়ে দেন।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মাছ ব্যবসায়ীরা বৃহস্পতিবার গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল তিনি তদন্তের জন্য সরেজমিন পরিদর্শনে যান।
তদন্ত শেষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুর রব হাওলাদার বলেন, প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলামকে (পিপিএম) জানানো হয়েছে। ইলিশ লুটের অভিযোগ অস্বীকার করে শরিকল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইকবাল কবির বলেন, তিন মাছ ব্যবসায়ীকে জাটকাসহ উপজেলা ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। উপজেলা মত্স্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার বলেন, ৭ অক্টোবরের আগে ইলিশের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।