যদি চান যে আপনার সন্তান সব সময় সত্য কথা বলবে, তাহলে মিথ্যা বলার জন্য তাকে শাস্তি দিতে যাবেন না। কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির গবেষক ভিক্টোরিয়া তাওয়ার তার গবেষণার এ তথ্য জানান।
৩৭২ জন শিশুর ওপর গবেষণা চালিয়েছেন ভিক্টোরিয়া। গবেষণায় দেখা যায়, মিথ্যা বলার জন্য এবং সত্য কথা বলতে বাধ্য হতে যদি শাস্তির ভয় থাকে, তবে শিশুরা সত্য বলতে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে।
এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের ওই গবেষক বলেন, শাস্তির মাধ্যমে কখনো সত্য বলার উপলব্ধি আসে না। বরং শিশুদের মাঝে শাস্তির ভয় তাদের আচরণকে উল্টে দেয়। অর্থাৎ, মিথ্যা বলার জন্য শাস্তি দিলে তারা আরো মিথ্যা বলতে চায়।
গবেষণার সময় শিশুদের একটি খালি কক্ষে একাকী রাখা হয়। তাদের পিছনের টেবিলে একটি করে খেলনা দেওয়া ছিল। বলা হয়, একা থাকার সময় তাদের না বলা পর্যন্ত খেলনাটি দেখতে নিষেধ করা হয়। একটি করে লুকানো ভিডিও ক্যামেরা শিশুদের দেখতে থাকে।
গবেষক যখন ফিরে আসেন এবং শিশুদের বলেন যে তারা খেলনাটি দেখেছে কিনা, তখন তাদের ৬৭ শতাংশ মিথ্যা কথা বলে। যাদের বয়স কম ছিল, তাদের মধ্যে সত্য বলার প্রবণতা স্পষ্ট ছিল। কিন্তু অপেক্ষাকৃত বড় শিশুরা মিথ্যা বলে। আবার যে সব বড় শিশুদের শাস্তি দিয়ে নয়, সুন্দরভাবে বোঝানো হয় যে, সত্য বলা সঠিক কাজ।
এ গবেষণার ফলে বাবা-মা এবং শিক্ষকরা বুঝতে পারবেন শিশুদের কিভাবে সত্যবাদী করে তোলা যায়। ‘জার্নাল অব এক্সপেরিমেন্টাল চাইল্ড সাইকোলজি’-তে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণা প্রতিবেদনটি।