ঢাকা: বিরোধী দলগুলোর বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়তে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বিএনপির আজকের সমাবেশের পর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্ট জাতীয় ঐক্যের বিষয়ে আলোচনা শুরু করবে। ঐক্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে নেতারা। এই কমিটি অভিন্ন দাবি ও লক্ষ্য এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা চূড়ান্ত করবে। এ বিষয়গুলো চূড়ান্ত হলেই বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে দাবি আদায়ে এক মঞ্চে উঠবেন বিরোধী দলগুলোর নেতারা। ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা জানিয়েছেন বিএনপি সমাবেশে তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরবে। ঐক্য প্রক্রিয়া ও যুক্তফ্রন্টেরও নিজস্ব পরিকল্পনা রয়েছে। বিষয়গুলো একত্র করে জাতীয় ঐক্যের রূপরেখা প্রণয়নই হবে স্টিয়ারিং কমিটির মূল কাজ।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সদস্য-সচিব আবম মোস্তাফা আমীন মানবজমিনকে বলেন, বিএনপির জনসভার পর আমরা পরবর্তী কমসূচি নিয়ে আলোচনা করবো। বিএনপির জনসভা সম্পর্কে তিনি বলেন, ওটা তাদের দলীয় কর্মসূচি। তাদের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথা হয়েছে। জনসভায় নিরপেক্ষ নির্বাচনসহ ঐক্য প্রসঙ্গেও তাদের বক্তব্য আসতে পারে।
নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে তারাও রূপরেখা দিতে পারে। জনসভার পর উভয়পক্ষের বৈঠকেই করণীয় ঠিক হবে। গতকাল ঐক্য প্রক্রিয়ার একজন নেতা জানান, বৃহত্তর ঐক্যের বিষয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। বিএনপির সমাবেশের পর স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই কমিটি হলে আমাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হবে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সমমনা দলগুলো নিজস্ব কর্মসূচি পালন করছে। বৃহত্তর ঐক্যের রূপরেখা তৈরি হলে একমঞ্চ থেকে কর্মসূচি আসবে। বৃহত্তর ঐক্যের ব্যানারে কর্মসূচি পালন করা হবে।
গত ২২শে সেপ্টেম্বর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশ থেকে ৩০শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারকে সময় বেঁধে দিয়ে বলা হয়, এই সময়ের মধ্যে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং সংসদ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা না দিলে ১লা অক্টোবর থেকে কর্মসূচি দেয়া হবে। ঐক্য প্রক্রিয়া সূত্র জানিয়েছে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন চিকিৎসার জন্য বিদেশে অবস্থান করায় অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে আপাতত বড় কর্মসূচি থাকছে না। ড. কামাল দেশে ফেরার পর আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করা হবে।