২২২ রান করে বোলারদের দোষ দিতে পারেন না’‘

Slider খেলা


খেলা ডেস্ক: বাংলাদেশ যেন মন জিতে নেওয়ার পণ করেছে। একের পর এক ফাইনাল খেলছে। প্রতিবারই ‘আহা, একটুর জন্য’ কিংবা ‘যদি অমন হতো’ দিয়েই শেষ করতে হয়েছে প্রতিটি ফাইনালের গল্প। ট্রফি নয়, প্রতিবারই শুধু মন জিতেই চলে আসছে বাংলাদেশ। কাল এশিয়া কাপেও সেই চেনা চিত্রনাট্যে খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে লড়াইয়ের পুঁজি তেমন পায়নি। তবু শেষ বল পর্যন্ত লড়েছে বাংলাদেশ। আরও একবার সমর্থকদের হৃদয়ে দাগ কেটে নিয়েছে এ লড়াই কিন্তু ট্রফিটা ভারতই নিয়েছে আরেকবার।

গতকাল আরও একবার নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হলো। দারুণ বল করছেন জানার পরও শেষ ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান কিংবা রুবেল হোসেনকে আনা যায়নি। কারণ, তাদের বোলিংয়ের কোটা আগেই খরচ হয়ে গেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওভারে মোস্তাফিজের সেই দুর্দান্ত বোলিংয়ের পুনরাবৃত্তি হলেই কাল বাংলাদেশ বিজয়ী হয়। কিন্তু অধিনায়ক মাশরাফির পক্ষে সেটা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি, ‘স্পিনাররা আজকে যেভাবে বোলিং করছিল, প্রত্যেক ওভারে ৬,৭, ৮ করে হচ্ছিল। উইকেটও পাঁচটা গিয়েছে। তখন তো খেলা শেষ ওভারে নিয়ে হয়তো দেখা যেত ৩ রান লাগছে। তখন যেই বোলিং করুক সেটা আটকানো সম্ভব নয়। অবশ্যই ভালো হতো মোস্তাফিজ বা রুবেলের একটা ওভার যদি রাখা যেত। কিন্তু ওই পরিস্থিতি ছিল না। কারণ ৩০ বলে ২৫। এমনকি একপর্যায়ে যদি দেখেন ১৭ বলে ১১ ছিল । এখান থেকে কিন্তু ওরাই টেনে নিয়েছে।’

কাল বোলারদের মধ্যে স্পিনাররা হতাশ করেছেন। অথচ পুরো টুর্নামেন্টে এই স্পিনাররাই বাংলাদেশকে বারবার ম্যাচে ফিরিয়েছেন। কাল ফাইনালে মেহেদী হাসান মিরাজ মাত্র ৪ ওভার বল করেছেন। মাহমুদউল্লাহ ৬ ওভার করেছেন, একটি বেকথ্রুও এনে দিয়েছেন। কিন্তু আগের ম্যাচগুলোর মতো প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। নাজমুল ইসলামও হতাশ করেছেন রান আটকানোর কাজে। কেন এমনটা হলো? এর পেছনে অধিনায়ক উইকেটের দায়ই দেখছেন। তবে এটাও জানিয়ে দিয়েছেন মাত্র ২২২ রান করে ফাইনাল জেতার আশা করা উচিত না, ‘প্রথম ইনিংসে স্পিন হচ্ছিল উইকেটে। পুরো টুর্নামেন্টে মিরাজ সেরা বোলার, মাহমুদউল্লাহ সর্বশেষ ম্যাচে সেরা বল করেছে। আমাদের শুধু দরকার ছিল ১০টা ওভার বের করা ওইখানে। যেটা আমরা করতে পারছিলাম না ওইসময়। আমার মনে হয় নাজমুল আরেকটু ভালো বল করতে পারত। যে কোনো স্পিনার যদি সমর্থন দিত আজকে ম্যাচটা হয়তো কঠিন হতো না। তবু ২২২ রান করে বোলারদের দোষ দিতে পারেন না। বোলারদের ক্রেডিট দেওয়া উচিত ওই পর্যায়ে পর্যন্ত গেছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *