২৭শে সেপ্টেম্বর বিএনপির জনসভার ঘোষণা

Slider রাজনীতি


ঢাকা: আগামী ২৭শে সেপ্টেম্বর জনসভা করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আজ নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

লিখিত বক্তব্যে রিজভী আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের সুশাসনের বোধ কখনোই ছিল না। নানা ফন্দিফিকির করে ক্ষমতায় এসে সন্ত্রাস বিতরণের কেন্দ্রে পরিণত হয়। চাঁদাবাজী, দখল, টেন্ডার সন্ত্রাস, লুটপাট, নির্যাতন-অত্যাচারের কাহিনী প্রতিদিন সংবাদপত্রের পাতায় জায়গা দখল করে থাকে।

আওয়ামী রাজনীতি কখনোই দলীয় সংকীর্ণতার বলয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। সেজন্য আওয়ামী ক্ষমতাসীনরা ব্যাংক-বীমা, শেয়ার বাজার, বিদ্যুৎ, জ¦ালানী, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেক্টর সবই আত্মসাৎ করেছে। এখন বেওয়ারিশ লাশ দাফনের সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম এর ওপরেও এদের নেক নজর পড়েছে। যুবলীগের মহানগরীর নেতারা আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম এর উপরে চড়াও হয়েছে বিপুল অংকের চাঁদা আদায়ের জন্য। এই ঘটনা জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। আর কিছুদিন পর হয়তো আওয়ামী সন্ত্রাসীরা লাশের কাছ থেকেও চাঁদা চাইবে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণমাধ্যমের একাংশ আওয়ামী লীগের প্রতি অবিচার করছে। আমরা মনে করি অবিচার করছে না, বরং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু’র গুন্ডামী ও গোয়েন্দাগিরি সত্ত্বেও গণমাধ্যমের বিরাট অংশ সাহসের সাথে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছে। তবে ক্ষুদ্র একটি অংশ যে পা চাটছে ও সুবিধার ঝোল খাচ্ছে তা জনগণ দেখছে। সংবাদ মাধ্যমের গলায় দড়ি ঝোলাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করে ওবায়দুল কাদের সাহেবদের তৃপ্তি মিটছে না। তাই এখন গোটা গণমাধ্যমকেই পকেটে ঢোকানোর চেষ্টায় কিছুটা বেগ পাওয়াতে আফসোস করে নানা কথাবার্তা বলছেন। তিনি আরো বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা’র প্রতি সরকারের আচরণের ঘটনাগুলো প্রকাশ হওয়ায় দেশবাসীসহ বিশ^বাসী বিমূঢ় বিস্ময়ে হতবাক হয়েছে।

দেশের প্রধান বিচারপতিকে যেভাবে সরকার প্রধান থেকে শুরু করে অন্যান্য মন্ত্রীরা হুমকি, গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেছেন তাতে আওয়ামী রাজনীতির বিকৃত সংস্কৃতি আবারও জনগণের কাছে সুষ্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। ২০১৭ সালের জুলাই এর প্রথম সপ্তাহে সংবাদ সম্মেলন করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতিকে নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তিনি দেশের প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করতে গিয়ে অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করেছেন। ১৫ই আগষ্ট উপলক্ষে একটি জনসভায় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রীরা দেশের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে নজীরবিহীন মন্তব্য করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন যে, তাঁর পদত্যাগ করা উচিৎ। তারপরের আক্রোশের কাহিনী দেশবাসী জানে। কিভাবে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আগ্রাসন চালিয়ে প্রধান বিচারপতিকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়। মানুষের শেষ আশয়স্থলকেও দখলে নিয়েছেন শেখ হাসিনা বলে জনগণ বিশ^াস করে। দেশ এখন আওয়ামী কু-রাজনীতির ঘোঁট পাকানো অবস্থার মধ্যে নিপতিত হয়েছে। এখন সরকারের ইচ্ছা অনিচ্ছা অনুযায়ী আইনী প্রক্রিয়া ও বিচারিক কার্যক্রম চলে। ২১শে আগস্টের বোমা হামলা মামলা এটির একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *