বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় বাগেরহাটের শরণখোলার দুটি ট্রলারসহ ১৮ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। ভারতীয় জেলেদের উদ্ধার করা শরণখোলার এফবি মারিয়া-১ ট্রলারের ৯ জেলেকে দুটি ট্রলারে তুলে দেওয়া হলেও ১৮ জেলেসহ অপর দুটি ট্রলারের এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান মেলেনি।
রবিবার সকালে নিখোঁজ জেলেদের পরিবার ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোস্টগার্ড জানিয়েছে তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যাত রয়েছে।
এদিকে, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় সুন্দরবনসহ বিভিন্ন এলাকায় আশ্রয় নেওয়া সকল মাছ ধরা ট্রলার সকাল থেকে সাগরে ফিরতে শুরু করেছে বলে নিশ্চিত করেছে সুন্দরবন বিভাগ।
বাগেরহাটের শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী বিলাশ রায় কালু জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ে তার এফবি সাগর-১, মালেক মোল্লার এফবি শাওন, তহিদুল তালুকদারের এফবি আজমীর শরীফ-১, এফবি মারিয়া -১ ট্রলার ও ইউনুচ শিকদারের অজ্ঞাতনামা একটিসহ ৪টি ট্রলার ৬০জন জেলে নিয়ে নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে ইউনুচ শিকদারের ট্রলারের ১০ জেলেসহ ট্রলারটির এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান মেলেনি। তহিদুল তালুকদারের ট্রলার দুটি হিরণপয়েন্টের চালনা বয়া এলাকায় তিন দিন পরে পাওয়া যায়। এছাড়া, মালেক মোল্লার ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরের বঙ্গবন্ধুর চরের একটি খালে আশ্রয় নিয়েছিল। ডুবে যাওয়া এফবি মারিয়া-১ ট্রলারের ৯ জেলেকে হিরণ পয়েন্টের কাছাকাছি চালনা বয়া এলাকায় শরণখোলার দুটি ট্রলারে তুলে দিলে তারা শনিবার রাতে মোংলায় পৌঁছায়। এই ট্রলারটিসহ ৮ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
দুটি ট্রলারসহ নিখোঁজ ১৮ জেলের বাড়ী বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
শরণখোলা উপজেলা জাতীয় মৎস্য সমিতির সভাপতি মো. আবুল হোসেন বলেন, এখনো নিখোঁজ ১৮ জেলেদের পরিবার ও স্বজনরা উৎকন্ঠায় রয়েছেন। মৎস্য সমিতি, আঁড়ৎ ও মহাজনদের কাছে বার বার ছুঁটে আসছেন খবর জানার জন্য। আমরাও বিভিন্ন মাধ্যমে খবর জানার চেষ্টা করছি।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের অপারেশন কর্মকর্তা লে. জাহিদ আল হাসান জানান, কোস্টগার্ড সুন্দরবনের দুবলা ও কচিখালী কন্টিনজেন্টের সদস্যরা দুটি টিমে ভাগ হয়ে নিখোঁজ জেলে ও ট্রলারের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদীন জানান, আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় দুর্যোগে আশ্রয় নেওয়া ট্রলারগুলো রবিবার সকাল থেকে সুন্দরবন থেকে সাগরে ফিরতে শুরু করেছে।