ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা জানিয়েছেন, আইনগত ভিত্তি পেলেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে তার আগে সেটি ত্রুটিমুক্ত কি না সেটা নিশ্চিত করতে হবে। আজ সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ এবং ইভিএম ব্যবহার বিষয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
কেএম নূরুল হুদা বলেন, ইভিএম অতিরিক্তভাবে চাপিয়ে দেয়া যাবে না। যতটুকু নিখুঁতভাবে ব্যবহার করা যাবে ততটুকুই ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তিনি আরো বলেন, ইভিএম নিয়ে মানুষের মাঝে সন্দেহ থাকবে, প্রশ্ন থাকবে। আমরা ভোটারদের মাঝে সেগুলো দূর করার চেষ্টা করবো। পরিপূর্ণভাবে ইভিএম ব্যবহার করবো। কোনো ধরনের ত্রুটি থাকলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।
ইভিএম ব্যবহারের জন্য এখনো আইনী স্বীকৃতি পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশন প্রধান বলেন, স্বীকৃতি পেলেই এটি ব্যবহার করা হবে। এই যন্ত্র ব্যবহার করলে ভোট গ্রহণ সহজ হবে, কষ্ট কমে যাবে, ভোট গণনা সহজ হবে এবং ভোট কারচুপি হবে না। রাজনৈতিক দলের নেতাদের ইভিএম সম্পর্কে ভালোভাবে জানার পরামর্শ দিয়ে সিইসি বলেন, জানার পর মন্তব্য করলে ভালো হয়। আমাদের অবশ্যই আধুনিক প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হতে হবে। নির্বাচনের ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে আমাদের সরে আসতে হবে।
২০১৮ সালের শেষে অথবা ২০১৯ সালের শুরুতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান সিইসি।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ মোখলেসুর রহমান। কর্মশালায় ৫০ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নিচ্ছন।