নির্বাচন কমিশন ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পুলিশি বাধায় পণ্ড

Slider ফুলজান বিবির বাংলা


ঢাকা: জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে বাম গণতান্ত্রিক জোট নির্বাচন কমিশন ভবন ঘেরাওয়ের জন্য মিছিল নিয়ে এগোতে থাকলে পুলিশ কারওয়ান বাজারের কাছে সার্ক ফোয়ারার সামনে লাঠিপেটা করে। এর আগে পুলিশ ও মিছিলকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

বাম জোটের দাবি, এ সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছে। পুলিশের বাধার কারণে মিছিলটি আর সামনে এগোতে পারেনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী বাম গণতান্ত্রিক জোট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে। ‘জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবিতে’ নির্বাচন কমিশন ঘেরাও সমাবেশের আয়োজন করে তারা। সমাবেশ থেকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে মিছিল শুরু করেন।

মিছিলটি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে এলে সেখানে পুলিশ তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে তারা মিছিল নিয়ে এগিয়ে যায়। শাহবাগ, বাংলা মোটর পার হয়ে সার্ক ফোয়ারা মোড় পর্যন্ত এলে সেখানে পুলিশ ব্যারিকেড সৃষ্টি করে। এরপরও জোটের মিছিল এগোনোর চেষ্টা করতে থাকলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশের লাঠিপেটায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। সার্ক ফোয়ারা মোড়ের ওপর সেখানে বিক্ষোভ করতে থাকেন দলটির নেতারা। এ সময় বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। তিনি লাঠিপেটার নিন্দা জানিয়ে বলেন, কোনো বাধা তাঁরা মানবেন না। দাবি আদায়ে আগামী ১১ অক্টোবর সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবেন।

সিপিবি নেতা রুহিন হোসেন দাবি করেন, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক, মো. শাহ আলম, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নুসহ অর্ধশত নেতা–কর্মী আহত হয়েছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের সহকারী কমিশনার সাত্যকি কবিরাজ সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের কাছে খবর ছিল, এ মিছিল থেকে কোনো নাশকতার আশঙ্কা রয়েছে। নিরাপত্তার জন্য তাদের এগোতে দেওয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবেই তাদের থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু মিছিল থেকেই পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তিনি জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *