চট্টগ্রাম মহানগরের মাদকাসক্ত নির্মূলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) গৃহিত পদক্ষেপ ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) কাছে জমা দেয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চসিকের চসিক কে বি আবুচ ছত্তার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভায় এ নির্দেশনা দেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সন্ত্রাস, জঙ্গি ও মাদকমুক্ত চট্টগ্রাম নগরী গড়ার প্রত্যয়ে ২০১৭ সালের ৩০ এপ্রিল চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউটটে চসিক ও সিএমপির দ্বিপক্ষীয় মতবিনিময় সভায় ৪১টি ওয়ার্ডের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদক সম্পৃক্ত এলাকার একটি তালিকা নগর পুলিশ কমিশনারের কাছে হস্তান্তর করেছেন। তালিকা অনুযায়ী পুলিশ নগরজুড়ে নানা তৎপরতা শুরু করলেও চসিকের প্রদত্ত তালিকার অগ্রগতি সম্পর্কে সিএমপি কোনো প্রতিবেদন উপস্থাপন না করায় এ নির্দেশ দেন মেয়র।
চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দিন আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মুহম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান, সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. হাসান চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। এ নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেছে। এই ধারাবাহিকতায় মাদক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশও প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। বিগত সময়ে পুলিশের বেশ কয়েকটি অভিযান চট্টগ্রাম নগরের মাদকজীবী গ্রেপ্তার ও মাদক ব্যবসা নির্মূলে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। চট্টগ্রাম নগরে মাদক ব্যবসা বর্তমানে অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত। তবে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মাদক সমস্যা প্রতিকার ও প্রতিরোধে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম সম্পর্কে নগরবাসী জানতে চাই।
নগরবাসীদের কাছে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা প্রদানের লক্ষ্যে আমাদের কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। জনসাধারণের কাছে নগরের বর্তমান অবস্থা উপস্থাপনের লক্ষ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদনটির প্রয়োজনীয়তা আছে বলে আমি মনে করি।