ব্যাংককের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ। এজন্য নব্বই কার্যদিবস তিনি জাতীয় সংসদে উপস্থিত হতে পারেননি।
এছাড়া তার সুচিকিৎসার জন্য আরো ছুটি প্রয়োজন। তাই পরবর্তী ৯০ কার্য দিবস পর্যন্ত ছুটি প্রয়োজন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদের কার্যপপ্রণালী বিধি অনুযায়ী ছুটির আবেদনটি মানবিক কারণে মঞ্জুর করার জন্য বৈঠকে উপস্থাপন করেন। পরে বিধি অনুযায়ী ভোটের মাধ্যমে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আগের ছুটি কার্যকর হয় এবং নতুন ছুটি মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে স্পিকার বলেন, চিকিৎসাধীন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ। তার পক্ষে ছুটির আবেদন করেছেন চীফ হুইপ আ স ম ফিরোজ। সংসদ কার্য প্রণালী বিধির ১৭৯ এর ২ বিধি অনুসারে কোনো সংসদ সদস্যের অনুপস্থিতির ছুটি মঞ্জুরের আবেদন পাস করতে শুনানিসহ বিতর্ক ব্যতিরেকে ভোট দেয়ার বিধান রয়েছে। অতীতের রেওয়াজ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, প্রথম জাতীয় সংসদের ২১-১-১৯৭৪, ১৩-৬-১৯৭৪, ২৬-৬-১৯৭৫ এবং নবম জাতীয় সংসদের ১৮-৩-২০১২ ও ৫-৬-২০১৩ তারিখে সংসদের বৈঠকে কয়েকজন মাননীয় সদস্যের অনুরূপ ছুটির নজির রয়েছে।
এমপিদের উদ্দেশ্য স্পিকার আরো বলেন, আপনারা সংসদ সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছুটি মঞ্জুরের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করতে পারেন।
আমি এখন বিধি অনুযায়ী মাননীয় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে চিফ হুইপের আনীত পত্রটি পড়ে শুনাচ্ছি।
পারিবারিক সূত্র থেকে জানা যায়, তিনি বর্তমানে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বামরুনগাগ্রাড হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।