সারাদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৫

Slider জাতীয়


ঢাকা: র‌্যাব ও পুলিশের কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ঢাকা, কক্সবাজার ও পাবানায় পাচঁজন নিহত হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকায় নিহত দু’জন ডাকাত দলের সদস্য এবং কক্সবাজের উখিয়ায় নিহত ব্যক্তিরা ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে জানায় র‌্যাব। আর পাবানায় নিহত ব্যক্তি চরমপন্থী দলের সদস্য বলে নিশ্চিত করছে পুলিশ।

ঢাকার রায়ের বাজার এলাকায় র‌্যাবের ‘বন্দুক যুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছে। র‌্যাব সদরদপ্তরের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার ভোরে রায়ের বাজার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পেছনে র‌্যাব-২ এর টহল দলের সঙ্গে একদল ডাকাতের গোলাগুলিতে অজ্ঞাতপরিচয় দুজন নিহত হয়।

তিনি বলেন, ডাকাত দলের সদস্যরা বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের পেছনে আগে থেকেই অবস্থান করছিল। র‌্যাবের টহল দল সেখানে গেলে তারা গুলি ছোড়ে। র‌্যাব তখন পাল্টা গুলি চালালে দুজন আহত হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনটি পিস্তল, গুলি, ছুরি, চাপাতি ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী দুজনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণ করেন। নিহত দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার শহীদ এটিএম জাফর আলম আরাকান সড়কের মরিচ্যা বাজার এলাকায় র‌্যাবের চেকপোস্টে গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে। এরা উভয়ই ইয়াবা ব্যবসায়ী বলে জানায় র‌্যাব। মঙ্গলবার রাত আড়াইটায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের মো. শাহ আলমের পুত্র আব্দুস সামাদ (২৭) যেেশার অভয়নগর উপজেলার নাজমুল সর্দারের পুত্র আবু হানিফ (৩০)।

র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, একটি ট্রাক মরিচ্যা চেকপোস্টে আসলে তা চেক করার জন্য সংকেত দেয়া হয়। সংকেত দেয়ার সাথে সাথে ট্রাক থেকে র‌্যাব কে উদ্দ্যেশ্য করে গুলি করা হয়। র‌্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। পরে দু’জনের লাশ পাওয়া যায়। ওই ট্রাকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা রয়েছে আগেই এমন গোয়েন্দা তথ্য ছিলো।

তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ১ লক্ষ ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। নিহতদের কাছ থেকে একটি ৭.৬৫ বিদেশি পিস্তল, এক টি ওয়ান শুটারগান, আট রাউন্ড গুলি ও আট রাউন্ড খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত দু’জন পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ী। নিহতদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে উখিয়া থানা পুলিশ।

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আতাইকুলায় পুলিশের সাথে ‘বন্দুক যুদ্ধে’ চরমপন্থী দলের এক নেতা নিহত হয়েছে। এসময় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার শেষ রাতে।

আতাইকুলা থানা সুত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ২টার (মঙ্গলবার ভোর) দিকে থানার লক্ষীপুর ইউনিয়নের কৈজুরী গ্রামে কাঠাল বাগানের মধ্যে একদল সন্ত্রাসী নাশকতার লক্ষ্যে গোপন মিটিং করছে এমন সংবাদ পায় পুলিশ। পরে আতাইকুলা থানার ওসি’র নেতৃত্বে একদল পুলিশ উক্ত স্থানে পৌছালে পুলিশকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়তে থাকে। পরে সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে আহতাবস্থায় একজনকে উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। নিহত ব্যক্তি পাবনার আটঘোড়িয়া থানার যাত্রাপুর গ্রামের কিয়ামুদ্দিনের ছেলে কোরবান আলী। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি রিভালবার, ৪ রাউন্ড গুলি ও ২টি গুলির খোসা উদ্ধার করে।

আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ রানা জানান, নিহত কোরবান আলী চরমপন্থী (নকশাল) দলের আঞ্চলিক নেতা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *