ঢাকা:বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান বংশোদ্ভুত পাকিস্তানে জন্ম নেয়া সব শরণার্থীকে নাগরিকত্ব দেবে পাকিস্তান। তারা পাবেন জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট। রোববার করাচি সফরে গিয়ে এ ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সরকারের দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই তার প্রথম করাচি সফর। সেখানে তিনি বলেন, এই মেট্রোপলিটন শহরে কয়েক লাখ অনিবন্ধিত বাংলাদেশী ও আফগান বসবাস করছেন। শহরটিতে নেই কোনো সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ওইসব বাংলাদেশী ও আফগান পান নি জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্ট।
এ জন্য তারা কোনো চাকরি পান না। ইমরান খান আরো বলেন, এই বেকারত্বের কারণে সেখানে ব্যাপক হারে বাড়ছে অপরাধমুলক কর্মকান্ড। সিন্ধু মেট্রোপলিটনের রাস্তায় ব্যাপক হারে অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এতে বলা হয়, করাচিকে পরিষ্কার করতে সিন্ধু সরকারকে দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দিযেছেন ইমরান খান। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, যদি এ সময়ের মধ্যে সিন্ধু ব্যর্থ হয় তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করবে। একটি ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়ে সিন্ধু সরকারকে উদ্ধার করা হবে। ইমরান খান রোববার সকালে ওই সফরে গেলে তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সিন্ধু গভর্নর ও মুখ্যমন্ত্রী মুরাদ আলি শাহ।
সেখানে পৌঁছার পর কায়দে আজমের সমাধি পরিদর্শন করেন। এরপর চলে যান রাষ্ট্রীয় গেস্ট হাউসে। সেখানে তিনি একটি বৃক্ষ রোপণ করেন। পরে তিনি শহরের আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। করাচির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে তাকে ব্রিফ করেন সিন্ধু পুলিশ, রেঞ্জারস ও গোয়েন্দা বিষয়ক এজেন্সির প্রতিনিধিরা। গেস্ট হাউসে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাত করেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ড. আরিফ আলভি।