বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু এবং সর্ববৃহৎ ‘বুদ্ধ ধাতু জাদি’ বান্দরবানের রাম বৌদ্ধ মন্দির। দেড় হাজার ফুট উঁচুতে দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ জাদি মন্দিরে ১০০ বৌদ্ধ মন্দির রয়েছে।
এটি নির্মাণে সময় লেগেছে ১১ বছর। জাদিটি পর্যটকদের কাছে এখন একটি আর্কষণীয় স্থান।
২০০৫ সালে জেলা শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে রোয়াংছড়ি উপজেলা সড়কের হুদা বাবুর ঘোনা এলাকায় পাহাড়ের চূড়ায় ১৭৫ ফুট উচ্চতার রাম জাদির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। ২০১২ সালে জাদিতে স্থাপন করা হয় বৌদ্ধ মূর্তি ও ধাতু।
মিয়ানমারের দক্ষ নির্মাণ প্রকৌশলীরা জাদিটি নির্মাণ করেছেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে প্রায় দেড় হাজার ফুট উঁচুতে গড়ে তোলা রাম জাদিটি অনেকের কাছে রামা জাদি নামে পরিচিত। জাদিকে আকর্ষণীয় করতে স্বর্ণাভাব রং দেওয়া হয়েছে। এটির অভ্যন্তরে রয়েছে ছোটবড় পিতলের ১০টি বৌদ্ধ মূর্তি এবং জাদির উপরের অংশে রয়েছে ৯০টি বৌদ্ধ মূর্তি।
জাদির তত্ত্বাবধানে নিয়োজিত শিল জ্যোতি বড়ুয়া বলেন, দেশের অন্যতম বৌদ্ধ ধর্মীয় গুরু দি ওয়াল্ড বৌদ্ধ শাসন সেবক সংঘের প্রতিষ্ঠাতা জোত মাহাথেরো রামা জাদিটি নির্মাণ করেছেন।
মিয়ানমার, চীন, থাইল্যান্ডের বৌদ্ধ মন্দিরগুলোর আদলেই রামা জাদি নির্মাণ করা হয়েছে। এটিতে ছোট বড় সব মিলিয়ে ১০০টি বৌদ্ধ মূর্তি রয়েছে। জাদির কাছেই রয়েছে বিহার। এটি এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ও দেশের সর্ববৃহৎ বৌদ্ধ জাদি।
জাদির উচ্চতা প্রায় ১৭৫ ফুট। দক্ষ স্থাপত্য প্রকৌশলীর হাত দিয়ে অনন্য নির্মাণ শৈলীর এ স্থাপনা তৈরিতে ১১ বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। অভিষেক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে এটির পূর্ণতা পেয়েছে।
রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা মৌজায় বান্দরবানের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উদ্যোগে নির্মিত রামা জাদি বৌদ্ধ মন্দির। এটি বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কের চতুর্থ কিলোমিটার এলাকায় পাহাড়ের উপর অবস্থিত।