উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় যমুনা পাড়ের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নে যমুনা নদীর পানি ১৬ দশমিক ৭০ সেন্টিমিটার বিপৎসীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। কয়েক দিন ধরে যমুনার পানি বাড়ছে। গত ১২ ঘণ্টায় ৬ সেন্টিমিটার বেড়ে শনিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত যমুনার পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনা পাড়ের মানুষের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে নদীর কূল উপচে পানি চরাঞ্চল ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের দিকে ধেয়ে আসছে। নদীর পূর্ব তীর ডুবে পুকুরিয়া, নিউসারিয়াকান্দি, বৈশাখী ও রাধানগর চরের কৃষকের জমির ধান, মাসকলাই, মরিচ ও বিভিন্ন জাতের সবজি ক্ষেতে পানি প্রবেশ করছে।
রাধানগর চরের কৃষক ফজলুল হক বলেন, ৩০ শতক জমিতে মাসকলাই ও ২০ শতক জমিতে মরিচ চাষ করেছিলাম। কিন্তু শনিবার সকালের দিকে পানি বেড়ে সেই ক্ষেত ফসল তলিয়ে গেছে।
বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, প্রতিদিনই যমুনা নদীর পানি বাড়ছে।
এতে চরাঞ্চলে ক্ষেতের ফসল তলিয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সহকারী প্রকৌশলী হারুনুর রশিদ বলেন, যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। এ কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হয়েছে।