ঢাকা:বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাম উল্লেখ না করে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন কেউ অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নেয়া উচিৎ এবং চিকিৎসা দেয়া প্রয়োজন। সরকারের ভুলে যাওয়া উচিৎ নয় আমরা সভ্য সমাজে বাস করি। এছাড়া, কারাগারে আদালত বসানোর বিষয়ে তিনি বলেন- আমি আদালতে গেলে বলব এটা সংবিধান সম্মত না। কোর্ট বিচার করবে এটা আসলেই সংবিধান সম্মত কিনা।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে গণফোরামের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। মূলত সাম্প্রতিক সময়ে ধরপাকড় নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। এতে তিনি আরও বলেন যেভাবে ধরপাকড় হচ্ছে এটা নিয়ে উদ্বেগের কারণ আছে। কাউকে গ্রেপ্তার করতে হলে ওয়ারেন্টসহ ইউনিফর্ম পরে আসতে হবে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতে হবে। যেন সে জামিন চাইতে পারে। এখন যেভাবে সাদা পোশাকে ধরা হচ্ছে সেটা সংবিধান সম্মত নয়, আইনের লঙ্ঘন।
বিশেষ কারণে দুই একবার সাদা পোশাকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে। তবে এটা এখন নিয়মিত করা হচ্ছে। কারো অপরাধ থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। তাও সংবিধানে স্পষ্ঠ করে উল্লেখ আছে কিভাবে আইনের আওতায় আনতে হবে। এখন যা হচ্ছে সরকার তা করতে পারেনা। তিনি বলেন- আমরা বেআইনি শাসনে চলে যাচ্ছি। সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। সাবধান হতে হবে। সমস্যার সমাধান করতে হবে। দ্রুত ধরপাকড় বন্ধ করা হোক। ক্ষমতার প্রয়োগ হবে আইন ও সংবিধানের ভিত্তিতে।
ড. কামাল বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে স্বাভাবিক পরিবেশ নেই। আমি আগে বলেছিলাম নির্বাচনটা আদৌ হবে কিনা। আসলে নির্বাচনটা হোক। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ দরকার। কিন্তু এখন ভয়ভীতির আশঙ্কা তৈরী হয়েছে।
জাতীয় ঐক্য পসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন – ২২ শে সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। একই দিন মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুমতি দেয়া হয়েছে। সোহরাওয়ার্দীতে সরকারের সবাই সমাবেশ করতে পারে অথচ বিরোধীরা চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে না করে দেয়া হয়। এটা বৈষম্য। এটা সংবিধানের ১৬ আনা পরিপন্থী।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন – জামায়াতকে নিয়ে ঐক্য আমি করব না। অন্য কেউ করলে সেটা জানিনা। তবে জামায়াত তো এখন দলই নেই। তারা নির্বাচন করতে পারবে না। আমরা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার প্রচেষ্টা ইতিবাচকভাবে চালিয়ে যাচ্ছি। ঐক্য হলে আপনারা জানতে পারবেন।