ঢাকা: সরকারে উন্নয়ন বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে উত্তরাঞ্চল অভিমুখে ট্রেনযাত্রা শুরু করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। আজ সকাল ৮টায় কমলাপুর রেল স্টোশন থেকে নীলসাগর এক্সপ্রেসে চড়ে নেতাকর্মীরা উত্তরবঙ্গের দিকে রওনা হন। নির্বাচনী ট্রেন যাত্রার শুরুতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে উদ্বাধনী বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের উন্নয়ন কাজ তৃণমূলে পৌঁছে দিতে এবং দলকে শক্তিশালী করতেই উত্তরাঞ্চলে আওয়ামী লীগের ট্রেন সফর। ভবিষ্যতে নৌ ও সড়ক পথেও সফর করা হবে। তিনি বলেন, তৃণমূলের মানুষ যাতে বিএনপি জামায়াতের গুজবের রাজনীতির নিয়ে সচেতন হয়, সে বিষয়ে দলের এই সাংগঠিক কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সফরে উত্তরের বিভিন্ন স্টেশনে ১১টিরও বেশি পথসভা করার কথা রয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা আমাদের নির্বাচনী যাত্রা। যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। এই ট্রেন যাত্রার মধ্য দিয়ে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে নির্বাচনী সফর করবে আওয়ামী লীগ। আগামী ১৩ই সেপ্টেম্বর লঞ্চযোগে নির্বাচনী সফর করব আমরা। এরপর সড়ক পথে আমাদের চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ যাওয়ার কথা রয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, কিছুদিন আগে আমরা রাজশাহীতে নির্বাচনী সফর করে এসেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বার্তা তৃণমূলে পৌঁছে দেয়ার জন্যই আমাদের এই সফর। এর মাধ্যমে আমরা তৃণমূলের কিছু বার্তা দিতে চাই। সামনের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রস্তুতি সেভাবেই নিতে হবে। অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা থাকলে তা নিরসন করা হবে। আমাদের এই যাত্রা তৃণমূল নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করবে। ট্রেন যাত্রার সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন আওয়ামী লীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িতপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে নীলফামারী যাওয়ার পথে টাঙ্গাইল, পাবনার ঈশ্বরদী, নাটোর, বগুড়ার শান্তাহার, জয়পুরহাট, আক্কেলপুর, দিনাজপুরের বিরামপুর, ফুলবাড়ী, পার্বতীপুর ও নীলফামারীর সৈয়দপুর স্টেশনে পথসভা করা হবে।
সফররত আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, স্বাভাবিক সময়ে ট্রেনের যাত্রাবিরতি তিন থেকে চার মিনিট হলেও পথসভা উপলক্ষে নীলসাগর এক্সপ্রেসের যাত্রাবিরতি হবে ১০ মিনিট। এই বিরতির ফাঁকেই উপস্থিত স্থানীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নির্বাচনী বক্তব্য রাখবেন ওবায়দুল কাদের।