সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলাস্থ দেশের একমাত্র জলারবন রাতারগুলের মহিষের ঘাটে বনবিভাগের লোকদের সাথে স্থানীয় গ্রামের দখলদারদের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বনরক্ষীরা গুলি ছুড়েন।
এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া দখলদারদের হামলায় এক রেঞ্জ কর্মকর্তা ও দুই বনরক্ষী আহত হয়েছেন।
বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাতারগুলের আশপাশে প্রায় ২০১ একর জায়গা সম্প্রতি দখলদারদের কবল থেকে উদ্ধার করে বনবিভাগ। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্থানীয় দখলদাররা। উদ্ধারকৃত জায়গায় গত মঙ্গলবার মুর্তা গাছের চারা রোপণ করতে যায় বনবিভাগের ৪৫ শ্রমিক। ওই সময় স্থানীয় সাব্বির আহমদ, মক্তার মিয়া, আলাউদ্দিন, মকবুল, আবুল ও শফাতসহ দখলদার বাহিনীর বেশকিছু লোক শ্রমিকদের বাধা দেয়। তারা রোপণকৃত প্রায় ১০ হাজার চারা উপড়ে ফেলে। এ ঘটনায় ওইদিনই গোয়াইনঘাট থানায় জিডি করেন বনবিভাগের সারী রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন।
বুধবার সকালে বনবিভাগের শ্রমিকরা ফের রাতারগুলে গাছের চারা লাগাতে যান। তখন দখলদাররা বাধা প্রদান করে। একপর্যায়ে বনবিভাগের লোকদের সাথে দখলদারদের সংঘর্ষ বাধে। দখলদারদের হামলায় রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন গুরুতর আহত হন। এছাড়া আরো দুই বনরক্ষী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বনরক্ষীরা ছররা গুলি ছুড়েন। এ সময় আলিম উদ্দিন, আবদুন নূর ও আরিফ উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, একজনের পেট ও অন্য দুজনের পায়ে ছররা গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরএস মুনিরুল ইসলাম বলেন, রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিনের অবস্থা গুরুতর। এছাড়া বনরক্ষী শুভ্র আহমদ ও আক্কাস আলী আহত হয়েছেন। তাদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বনবিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে।