বর্তমানে প্রেক্ষাপটে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ‘চরম সংকটাপন্ন’ উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘গণতন্ত্রকে কবরে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আধিপত্যবাদ আজও ডানা বিস্তার করে রেখেছে। কারণ ৫ জানুয়ারির তামাশার নির্বাচন করে গণতন্ত্রবিনাশী আধিপত্যবাদের শিখণ্ডি উৎপীড়ক শাসকশ্রেণি জনমতকে রক্তাক্ত পন্থায় দমন করে ক্ষমতা জবরদখল করে রেখেছে।’
প্রয়াত মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর উদ্যোম ও সাহসিকতাকে আঁকড়ে ধরে রাখতে পারলে আগ্রাসী শক্তিকে রুখা সম্ভম হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে খালেদা জিয়া তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা এবং বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
তিনি বলেন, ‘ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমল থেকে শুরু করে স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশে সব স্বৈরশাসকের অপশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা এবং দেশের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দেশপ্রেমিক মজলুম জননেতা মরহুম মওলানা ভাসানীর অবদান নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।’
বিএনপি প্রধান বলেন, ‘রাজনৈতিক জীবনে তিনি আজীবন শোষিতের পক্ষ নিয়ে শাসকগোষ্ঠীকে দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। তিনি নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সব সময় থেকেছেন আপোষহীন নেতৃত্বের ভূমিকায়।’
প্রয়াত মওলানা ভাসানীর বলিষ্ঠ ও সাহসী ভূমিকা একটি শক্তিশালী এবং আত্মনির্ভশীল দেশ ও সমাজ বিনির্মাণে প্রেরণা যোগাবে-মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘তার প্রদর্শিত পথ ধরে চলতে পারলেই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে কোনো কঠিন বাধাই আমাদের পথ আগলাতে সক্ষম হবে না।’
মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, মওলানা ভাসানী ছিলেন নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর। তার কণ্ঠে উচ্চারিত হতো বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ের দাবি। তিনি ছিলেন মজলুমের বন্ধু, সাম্রাজ্যবাদ, আধিপত্যবাদ এবং অত্যাচারী শাসক ও শোষক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এক আপোষহীন যোদ্ধা।
মির্জা আলমগীর বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র সুরক্ষায় মওলানা ভাসানী যুগ যুগ ধরে প্রেরণা জোগাবে, দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে।
মওলানা ভাসানীর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিবেদিত হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব।