ঢাকা: করাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে বিএনপিকে আন্দোলন করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমি আন্দোলন ছাড়া কিছু দেই না।
বিমসটেক সম্মেলনে যোগদান শেষে দেশে ফিরে আসার পর রোববার সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তাদের নেত্রী বন্দি হয়ে আছে, এতে আমাদের কী করার আছে। তাকে মুক্ত করার জন্য তারা আন্দোলন করুক।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া গ্রেফতার হয়েছেন এতিমের টাকা চুরি করে। আদালত তাকে শাস্তি দিয়েছে। এতে আমাদের কিছু করার নাই। তার বিরুদ্ধে আরও মামলা আছে। যে মামলায় তার শাস্তি হয়েছে ওই মামলা আমরা করি নাই। সে সময় তাদের পছন্দের সেনা সমর্থিত সরকারই ক্ষমতায় ছিল। তারাই ওই মামলা দিয়েছে। আইনের বাইরে আমার কিছু নাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের নেত্রী এখন কারাগারে বন্দি। তারা পারলে আন্দোলন করে তাকে মুক্ত করুক।
আজ রোববার বিকেল ৪টায় গণভবনে এই সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। শুরুতে বিমসটেক সম্মেলন নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে লিখিত বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই শুরু হয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের পালা।
প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সঙ্গে কোনো ধরনের সংলাপ বা যোগাযোগ করার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি ডাক দিচ্ছে, হুংকার দিচ্ছে ভালো। আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে। তাতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর তো ওদের সঙ্গে কথা বলব না। তাঁর (খালেদা জিয়ার) যারা আমার বাড়িতে এসে বসে থাকত তারা আমার মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। আমার তো একটা আত্মসম্মান বোধ আছে। আমি বারবার অপমানিত হতে কেন যাব?’
বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়াকে তো আমি গ্রেপ্তার করিনি। সে গ্রেপ্তার করেছে এতিমের টাকা চুরি করে। তাদের আমলে দুর্নীতি, ঘুষ নেওয়ার অনেক ঘটনা ঘটেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যদি মুক্তি চান কোর্টের মাধ্যমে আসতে হবে। দ্রুত চাইলে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। মামলা আমাদের সরকারের দেওয়া নয়। ওনারাই পছন্দের ইয়াজউদ্দিন, ফখরুদ্দীন সাহেবের আমলে দেওয়া।
বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডু গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। ওই দিন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। বিমসটেক সম্মেলনে দেওয়া ভাষণে শেখ হাসিনা মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল সৃষ্টি, বিনিয়োগ ও জ্বালানি খাতে যৌথ প্রচেষ্টা, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ এবং অর্থায়ন প্রক্রিয়া গড়ে তোলার মাধ্যমে বিমসটেক ফোরামে সহযোগিতা সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।