আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০০১ সালের নির্বাচন ২০১৮ সালে করার চেষ্টা করছে বিএনপি। তবে এই নীল নকশার নির্বাচন দেশে আর হতে দেওয়া হবে না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার দেশে আর আসবে না। নির্দিষ্ট একটা দলের জন্য নির্বাচন থেমে থাকবে না। গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির অধিকার, সুযোগ নয়। কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সরকার কোনো দলকে সুযোগ দেয় না।
শুক্রবার সিলেট সার্কিট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার করতেই আমরা ইভিএম সাপোর্ট করি। নির্বাচন সম্পর্কে মানুষের ‘খারাপ ধারণা’ দূর করতে ইভিএম দরকার। ইভিএম হচ্ছে আধুনিক ভোটিং পদ্ধতি। সিলেটেও বিএনপি দু’টি ইভিএমের কেন্দ্রে জয়ী হয়েছে।
তারা জিতলে মানবে আর হারলেই কারচুপির অভিযোগ তুলবে। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হতে পারবে না বলেই নানা অভিযোগ দিচ্ছে তারা।
ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের ‘নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি)’ প্রসঙ্গে কাদের বলেন, এক জন নোট অব ডিসেন্ট দিতেই পারেন। সিইসিসহ পাঁচ জন কমিশনারের মধ্যে সবার মতামত যে এক হবে এমন তো কোনো কথা নেই। এটাই গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য। একজন ভিন্ন মত দিতেই পারেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আহমদ হোসেন, অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, একেএম এনামূল হক শামীম, দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।