সিতারাম রায়ের রাজ বাড়িটি মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেখে আজও মুগ্ধহন দর্শনার্থীরা!

Slider সারাদেশ


উজ্জ্বল রায় ;নড়াইল প্রতিনিধি■:
আজ (৩০আগস্ট)-(২৭৪)-০১৬৭৭৪২১১২৫ রাজা সিতারাম রায়ের রাজ বাড়ি আজও মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে ষোড়শ শতাব্দীর শেষ ভাগে সীতারাম সাতৈর পরগণার বিদ্রোহী পাঠান করিম খাঁকে শায়েস্তা করার পুরস্কার স্বরূপ ভূষনা রাজ্যের নড়াইলের নলদী পরগনার জায়গীরদার নিযুক্ত করেন। সুবেদার শায়েস্তা খা তাকে রাজা উপাধিতে ভূষিত করেন। পরে দিল্লির বশ্যতা অস্বীকার করলে বাংলার নবাব মুর্শিদ কুলি খা রাজা সীতারামকে শায়েস্তা করতে সেনাপতি আবু তোরাবের নেতৃত্বে সৈন্য প্রেরণ করেন। এ যুদ্ধে তোরাব নিহত ও নবাব বাহিনী পরাজিত হয়। এর পর ক্ষিপ্ত নবাব সেনাপতি দয়ারাম ও বক্স আলী খাঁর নেতৃত্বে পূনরায় বিশাল সৈন্যদল পাঠান। বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করার এক পর্যায়ে রাজা সীতারাম পরাজিত ও নিহত হন। রাজা সিতারাম রায়ের রাজ বাড়িটি আজও মানুষকে আকর্ষন করে। মহম্মদপুর রাজা সিতারাম রায়ের রাজ বাড়িটি আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই ঈদে রাজবাড়ীটি দেখতে মত মত মানুষ ভীড় করেন। মধুমতি পাড়ে সপ্তদশ শতাব্দিতে স্বাধীন চেতা ও প্রজাবৎসল রাজা সীতারাম রায় তার রাজধানী স্থাপন করেন।

রাজা সীতারাম আজ নেই, নেই কোন রাজ-কর্মচারী, সৈন্য-সামন্ত, পাইক-পেয়াদা। নেই কোন কর্মচাঞ্চল্য কোলাহল। শুধু কালের স্বাক্ষী হয়ে আজও দাড়িয়ে রয়েছে রাজপ্রাসাদ, দোলমঞ্চ, পুকুর সহ অসংখ্য জলাশয় গুলো। জানাযায়, দক্ষিণ-পূর্ব দিকে মহম্মদপুর অবস্থিত রাজা সিতারাম রায়ের রাজ বাড়ি।রাজা সীতারামের বাবা উদয় নারায়ন রায় ছিলেন তৎকালীন ভূষণা রাজ্যের উচ্চ পদস্থ কর্মচারী। সে সুবাদে ছোট বেলা থেকেই রাজা সীতারামের যাওয়া আসা ছিল রাজ দরবারে। তিনি নিজ যোগ্যতায় যুদ্ধবিদ্যা, রাজকার্য, অশ্বচালনা রপ্ত করেছিলেন। বাবা উদয় নারায়ন মহম্মদপুরের শ্যামনগরে জোত বন্দোবস্ত নিয়ে মধুমতি পাড়ের হরিহর নগরে বসতি স্থাপন করেন। তাই ঈদে রাজবাড়ীটি দেখতে মত মত মানুষ ভীড় করেন। মুগ্ধহন বাড়িটি দেখে। সোহেল আলম তুষার নামে এক দর্শনার্থী জানান, আমি মাগুরা শহরে একটি ছোট প্রতিষ্ঠানে কাজ করি। বিভিন্ কাজের জন্য রাজরাড়িটি দেখার সুযোগ হয়নি। তাই ঈদের ছুটিতে এই রাজবাড়িটি পরিবার নিয়ে দেখতে এসেছি।

১৯৫০ সালে বাংলাদেশ থেকে ১ মাসে ৫০ লাখের বেশি হিন্দু বাধ্য হয় দেশান্তরিত হতে…!!! আর এখনো প্রতিনিয়ত সেটাই হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *