ঢাকা: মিয়ানমারে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী সেখানকার শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের নতুন রিপোর্ট বলে যে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যাপবভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এর প্রেক্ষিতে এর জন্য মিয়ানমারের শীর্ষ স্থানীয় সেনা সদস্যদের দায়ী করছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে মিয়ানমারের ওপর বিভিন্ন সময়ে অবরোধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নুয়ার্ট মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিং করেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে অংশগ্রহণকারীদের রাখাইনে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নি এ কথা জেনে আমরা অত্যান্ত উদ্বিগ্ন। রাখাইন হলো মূল এলাকা, যেখানে এই সঙ্কটের সৃষ্টি। সেখান থেকে অসংখ্য মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন। বহু মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আপনারা সবাই এর বাকি অংশ জানেন।
মিয়ানমারের কারণে সেখানকার পর্যপ্ত তথ্য সংগ্রহ করা যায় নি। এ জন্য বিষয়টি সবার কাছে উদ্বেগজনক। হিদার নুয়ার্ট আরো বলেন, মানবিক সহায়তা কর্মীদের সেখানে (রাখাইনে) প্রবেশ করতে দেয়া হয় নি। তাদেরকে সেখানে থাকা লোকদের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি ত্রাণ ও সহায়তা পৌঁছে দিতে দেয়া হয় নি। একই অবস্থা মিডিয়ারও। তাই আমি জোরালোভাবে হতাশার কথা জানাচ্ছি যে, আমাদের বিভিন্ন গ্রুপকে সেখানে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নি।