স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করায় সাংবাদিক সুবর্ণা আক্তার নদীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করে তার বড় বোন চম্পা খাতুন বলেন, ‘সুবর্ণা তার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলো। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। ওই মামলার কারণেই সুবর্ণাকে হত্যা করা হয়েছে।’
মঙ্গলবার রাতে নিজ বাসার সামনে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে আনন্দ টিভির পাবনা প্রতিনিধি ও স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল ‘দৈনিক জাগ্রত বাংলা’র সম্পাদক ও প্রকাশক সুবর্ণা আক্তার নদীকে। এরপর সুবর্ণার বোন চম্পা জানান, আবুল হোসেনের ছেলে রাজীবের সঙ্গে তিন-চার বছর আগে বিয়ে হয়েছিল সুবর্ণার। বছরখানেক আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এর পর সুবর্ণা পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেন। এ মামলায় সুবর্ণা তার সাবেক স্বামী রাজীব ও তার বাবা আবুল হোসেনসহ তিনজনকে আসামি করেন।
গতকাল এ মামলার সাক্ষ্য দেয়ার দিন ছিল। এতে সুবর্ণা তার পক্ষে আদালতে সাক্ষ্যও উপস্থাপন করেন। চম্পার দাবি, মামলায় ফেঁসে যাওয়ার আশঙ্কায় আসামিরা পরিকল্পিতভাবে সুবর্ণাকে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের সাবেক শ্বশুর আবুল হোসেনকে আটক করেছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, তাৎক্ষণিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদ্ঘাটন করতে না পারলেও কয়েকটি ইস্যু নিয়ে পুলিশ মাঠে নেমেছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তা প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
উল্লেখ, রাজীবের সঙ্গে বিয়ের আগেও সুবর্ণা আক্তার নদীর আরেকটি বিয়ে হয়েছিল। সেই ঘরে তার ৫-৬ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।