গাজীপুর অফিস: গাজীপুর পুলিশে চলছে নতুন কাল। নতুন পুলিশ সুপার, নতুন পুলিশ কমিশনার। নতুন উদ্যমে চলছে গাজীপুর পুলিশের পুন:বিন্যাস কার্যক্রম। এরই মধ্যে আদেশ এসেছে, নতুন মেট্রোপলিটনে থাকছে না জেলা পুলিশের একজন সদস্যও। এমনকি আগে যারা ছিলেন তারাও জিএমপিতে থাকতে পারছেন না। এই কারণে সহসাই প্রশ্ন এসে যায়, নতুন পুলিশ সুপারের নতুন উদ্যমে কি আগের সকলেই থাকছেন! না কেউ কেউ থাকছে না, বা থাকতে পারছেন না। এই নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। পুরাতনকে নতুন করতে কি কি উদ্যোগ নিবেন নতুন অধিকর্তারা, তা নিয়ে নানা মত, প্রকাশ্যে ও গোপনে ভেসে আসছে প্রতিনিয়ত।
অনুসন্ধানে জানা যায়, পুলিশের মহারিপরিদর্শকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ বা জিএমপিতে গাজীপুর জেলা পুলিশের বর্তমান ও সাবেক কোন পুলিশ সদস্য থাকতে পারছেন না। নতুন মেট্রোপলিটনের এই উদ্যোগ কতটুকু কার্যকর হবে তা সময় বলে দেবে। তবে মহানগরবাসী আশাবাদী, জিএমপি মানুষের মৌলিক অধিকারকে সুরক্ষিত করতে সক্ষম হবে।
এদিকে গাজীপুর জেলার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেছেন শামসুন্নাহার পিপিএম। তার আগের কর্মস্থল চাঁদপুর থেকে তিনি সুনামের সঙ্গে বিদায় নিয়ে গাজীপুরে যোগদান করেছেন। শামসুন্নাহারের ওকাল বলে দেয়, একাল ভাল হবে। জেলাবাসী আশাবাদী, তাদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে শামসুন্নাহার সক্ষম হবেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসে গাজীপুর জেলা একটি ব্যাতিক্রম জেলা। কারণ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গাজীপুরও নেতৃত্ব দিয়েছে। ২৬ মার্চের আগে ১৯ মার্চ স্বশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ করেছে গাজীপুর। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের আগের দিন ১৫ ডিসেম্বর গাজীপুরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন হয়েছে। তাই গাজীপুরবাসী পরীক্ষিত সাহসী মানুষ। এই সাহসী মানুষগুলো সব সময় আশাবাদী। আশায় বুক বেঁধে থাকে গাজীপুরের ভাওয়ালীরা।
গাজীপুর জেলা ও মহানগরের মানুষের দাবী, যে সকল পুলিশ কর্মকর্তা মানুষকে সেবা করার নামে অত্যাচার করেছেন, তাদের চিহিৃত করে বিচার করা নতুন পুলিশ সুপারের দায়িত্ব। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের মধ্যে সুন্দর সমন্বয় প্রত্যাশা করে জেলাবাসী।
সাধারণ মানুষ চায়, পুলিশের সান্নিধ্যে থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রনের নামে নিরীহ মানুষকে হয়রানী করার মাধ্যমে গত ৪ বছরে যে সকল মানুষ রাতারাতি কোটিপতি হয়েছেন তাদেরকে চিহিৃত করে তদন্তপূর্বক বিচারের ব্যবস্থা করা হউক। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুঁজি করে যেসকল মানুষ গত ৪ বছরে পুলিশকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে নির্যাতন ও হয়রানী করেছেন তাদেরও বিচার হউক।
কালকে আসছে– “চার বছর কেমন ছিলেন সাংবাদিকেরা” !