যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে নিখোঁজ রয়েছেন প্রায় ৮৮ হাজার মানুষ। তারা আদৌ বেঁচে আছেন কিনা এ ব্যাপারে তাদের পরিবারের কোনো ধারণা নেই।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগজনক তথ্য উঠে এসেছে। তাদের সন্ধানের জন্য মামলাও চালু রয়েছে। কোনো হদিস না মেলায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারকে।
নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তাদের বিশেষ করে নিখোঁজ ব্যক্তির সঙ্গে কারো যৌথ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক রয়েছে, তাদেরই বেশি ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। যৌথ সম্পত্তি বিক্রি বা এ ধরনের কোনো অপ্রত্যাশিত সমস্যার মুখে না পড়লে হারিয়ে যাওয়া লোকটির পরিবার বুঝতে পারে না যে অন্ততপক্ষে তাদের একটি ডেথ সার্টিফিকেটের প্রয়োজন রয়েছে।
অনেকেই ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন না এই আশায় যে তার প্রিয় মানুষটি বেঁচে আছেন। একদিন ঠিকই ফিরে আসবেন।
সারা রানাডাজো নামের এক নারী ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের কাছে বলেন, প্রিয় মানুষের নিখোঁজ থাকার ঘটনায় একটি ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া স্বামী বা স্ত্রী তার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন না। অবসর নেওয়ার পর সুবিধাভোগের ক্ষেত্রেও তাদের সমস্যায় পড়তে হয়, সমস্যায় পড়তে হয় নিজেদের সম্পত্তি রক্ষায়ও।
তাই অনেকটা বুক বেঁধেই প্রিয় মানুষের ডেথ সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন অনেকেই।
রোসারা অ্যালিসিয়া ইয়ু’র স্বামী ২০১২ সাল থেকে নিখোঁজ। এরপর থেকে একাই সংসার সামলাতে হয় তাকে। একজন বাস ড্রাইভার হিসেবে তিনি যা আয় করেন, তা দিয়ে তার ও তার ৬ সন্তানের সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিমই খেতে হয় ইয়ুকে। পরে আদালত ইয়ু’র স্বামীকে মৃত ঘোষণা করলে ইয়ু তাদের ক্যালিফোর্নিয়ার বাড়িটি বিক্রি করতে সক্ষম হন। স্বামীর লাইফ ইন্স্যুরেন্সের অর্থও উদ্ধার করতে পারেন।
মৃত ঘোষণার আবেদনগুলোর ক্ষেত্রে কাজ করেন এমন একজন আইনজীবী বেথ চ্যাপম্যান বলেন, এটি একটি আবেগময় বিষয়। মরদেহ না পেলে আদালতের কাছে এমন আবেদন করতে অনেকেরই বুক ভেঙে যায়।