হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট :: পবিত্র ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে সিলেট জেলার কোরবানির পশুর হাটগুলো শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে। সিলেটের মাছিম পুর গরুর বাজার, কদমতলি, কাজির বাজার, টিলাগড়, সুবিদ বাজার, শিবগঞ্জ বাজার, শাহপরান, হেমু, গোলাপগঞ্জ এমসি একাডেমী মাঠ, ঢাকাদক্ষিণ বাজার, পুরকায়স্থ বাজার, জকিগঞ্জ, কালীগঞ্জ, সোনাসার, বিয়ানীবাজার, চারখাই বাজার, কানাইঘাটের, ফেঞ্চুগঞ্জসহ বেশ জেলার কোরবানির পশুর হাট জমজমাট হয়ে উঠেছে।
সরজমিন জেলার প্রধান প্রধান কয়েকটি কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখা যায় ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে কোরবানির আমেজ বিদ্যমান। ক্রেতা ও বিক্রেতারা উৎফুল্ল মেজাজে দর কষাকষির মাধ্যমে গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয় করছেন।
স্থানীয় বাজার সমূহে কোরবানির পশুর মধ্যে গরুর পাশাপাশি ছাগলের হাটেও ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যায়। ক্রেতারা যে যার সাধ্যমত গরু ক্রয় করতে বাজারের শুরু থেকে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত ঘুরে দরাদরির করছেন। বিক্রেতারাও নিজের গৃহপালিত গবাদি পশুটিকে ক্রেতার সম্মুখে আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন রকম সাজে সজ্জিত করে রেখেছেন।
তবে এবার কোরবানির পশুর দাম নিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য পাওয়া যায়। মাছিমপুর বাজারে গরু নিয়ে আসা কামার আহমদ জানান, চাহিদা মতো দাম পাচ্ছি না। অভিযোগের সুরে বলেন মৌসুমী ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য গৃহস্থ্যরা তাদের দেশীয় গরুর প্রাপ্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরও কয়েকজন বিক্রেতার সাথে আলাপ করে জানা যায়, এবারকার কোরবানির ঈদে বড় গরুর চেয়ে মধ্যম সাইজের ৩৫,০০০ হাজার থেকে ৬০,০০০ টাকা দামের গরুর চাহিদা বেশি।
অপরদিকে গরু ক্রয় করতে আসা রেজওয়ান আহমদ জানান, গরুর যথেষ্ট দাম রয়েছে, অনেক বিক্রেতা অতিরিক্ত দাম চাচ্ছেন। তবে বাজারে পছন্দসই গরু যথেষ্ট পরিমাণে এসেছে।
হাট সংশ্লিষ্টদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, কাজিরবাজার কোরবানীর পশুর মাঠ পরে অন্য সবগুলো হাটে ভালো কেনাবেচা হয়েছে। শেষ দিনে তারা আরও ভালো বিক্রির আশা করছেন।