ঢাকা: সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার বিষয়ে মতামত দিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আজ সোমবার বিকেলে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এসে ওই মতামত নিয়ে যান।
মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার বিষয়ে আদালতের রায় নিয়ে গেল সপ্তাহে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কাছে মতামত চাওয়া হয়েছিল।
জানতে চাইলে আজ বিকেল পৌনে চারটার দিকে মাহবুবে আলম বলেন, ‘আদালতের রায় নিয়ে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোটার বিষয়ে মতামত চূড়ান্ত করার পর বিকেলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এসে মতামত–সংবলিত প্রতিবেদন নিয়ে যান। আমি রায় ও বিভিন্ন সিদ্ধান্তের আলোকে ওই বিষয়ে মতামত দিয়েছি। এ বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।’ তবে মতামতে কী বলা হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি হননি রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তা।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। প্রথমে কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছিল। পরে সময় আরও ৯০ কর্মদিবস বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
চলতি মাসের ১৩ তারিখ মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও ওই কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেছিলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার, বাতিল ও পর্যালোচনায় গঠিত সরকারি কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ হলো, কোটা প্রায় পুরোটাই উঠিয়ে দেওয়া। এর পাশাপাশি মেধাকে প্রাধান্য দেওয়ারও সুপারিশ এসেছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোহাম্মদ শফিউল আলম আরও বলেন, ‘সরকার আদালতের কাছে মতামত চাইবে। যদি আদালত বাতিল করে দেন, তবে কোটা থাকবে না। আর যদি আদালত বলেন, ওই অংশটুকু (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) সংরক্ষণ করতে হবে, তাহলে ওই অংশ বাদে বাকি সবটুকু উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এটা হলো প্রাথমিক তথ্য।’