নাসার কাছে হোমওয়ার্কের জবাব জানতে চেয়ে জবাব পেল পুঁচকে লুকাস

তথ্যপ্রযুক্তি বিচিত্র

32276-lucuasডেস্ক: আচ্ছা ছোট বেলায় স্কুলে হোমওয়ার্কে সায়েন্স প্রোজেক্ট নিয়ে আপনি ‘ঘেঁটে’ গেলে কী করতেন? হোমওয়ার্কের কোনও জবাব অজানা থাকলেই বা কাকে জিজ্ঞাসা করতেন? সাধারণত, স্কুলের হোমওয়ার্কের জবাব না মিললে বাবা-মা বা বরং টিচারের যায় সবাই। তবে এইসব বোধহয় এখন ব্যাকডেটেড। ইংল্যান্ডের ৪ বছরের পুঁচকে ছেলে লুকাস হুইটলি বেছে নিয়েছিল অন্য একটা রাস্তা। আর, হ্যাঁ, তার চেষ্টা বফলে যায়নি। স্কুলের সায়েন্স হোমওয়ার্ক বুঝতে না পেরে একেবারে নাসা-র স্মরণাপন্ন হল সে।

স্কুলের সায়েন্স হোমওয়ার্কের তিনটে প্রশ্ন নিয়ে বেজায় সমস্যায় পড়েছিল লুকাস। বহু মাখা খাটিয়েই উত্তর খুঁজে পাইনি সে। লুকাস ঠিক করে ফেলে একেবারে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা-কে খুঁচিয়েই জবাবটা জেনে নেবে। লুকাস তার বাবাকে অনুরোধ করে সায়েন্স অ্যাসাইমেন্ট সে যে সমস্যায় পড়েছে সে সংক্রান্ত একটা ভিডিও তৈরি করে দিতে। লুকাসের নিজের বয়ানে করা তিনটি প্রশ্নের সেই ভিডিও আপলোড করা হপ্য নাসা-র ওয়েবসাইটে।

নাসা-র ইঞ্জিনিয়ার টেড গারেফ লুকাসকে তার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে একটি ইমেল করেন। সঙ্গে পাঠান ১০ মিনিটের একটি এড্যুকেশনল ভিডিও।

তবে এই প্রথম নয়। প্রশ্ন করলেই নাসা থেকে জবাব দেওয়ার ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। গত বছর ৭ বছরের ডেক্সটার নাসাকে চিঠি লিখে জানিয়েছিল সে মঙ্গলে যেতে চায়। ভবিষ্যতে মঙ্গলযাত্রী হয়ে গেলে কী কী করতে হবে তার একটা বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে তাকে জবাব পাঠিয়েছিল নাসা। আপনারও কী মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়ে কোনও প্রশ্ন আছে? অপেক্ষা কীসের? জিজ্ঞাসা করে ফেলুন না নাসা-কে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *