গাজীপুর: গাজীপুরে অবস্থিত শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাপসাতালের রোগীদের ডাক্তারী পরীক্ষা হয়, রেডিয়াম ডায়গনষ্টিক এন্ড ডক্টর্স চেম্বারে। ৪০ থেকে ৫০ ভাগ কমিশনের ভিত্তিতে শহীদ তাজউদ্দীনের ডাক্তার, নার্স, কর্মচারী ও দালালরা রোগী পাঠায়। আর এই কমিশনের ভাগ-ভোটোয়ারা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ অনেকে এই অবৈধ টাকার ভাগ পায়। আর শহীদ তাজউদ্দীনে কর্মরত যে সকল ডাক্তার রেডিয়ামে বসেন, তাদের ক্ষেত্রে রোগী পাঠানো হল নিজের ঘরে বসে টাকা উপার্জন।
ভুক্তভোগীরা জানায়, কোন রোগী শহীদ তাজউদ্দীনে আসলে জরুরী বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে ডাক্তার একটু দেখে টেষ্ট লিখে দেয় এবং বলে দেয়, রেডিয়ামে টেষ্ট না করলে গ্রহন করা যাবে না। তাই রোগীরা বাধ্য হয়ে রেডিয়ামে যায়। প্রতিটি রোগী ২ থেকে ৬ হাজার টাকা পর্যন্ত টেষ্ট খরচ দিয়ে থাকেন রেডিয়ামে।
রেডিয়ামের একটি গোপন সূত্র জানায়, তাদের যা রোগী আসে তার প্রায় সব রোগীই শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আসা। প্রতিদিন ১০০ থেকে ২০০ জন রোগী রেডিয়ামে আসে। নানা ধরণের পরীক্ষা করার মাধমে প্রতিটি রোগী যে টাকা দেয় তা থেকে কমিশন দিতে হয় শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে। এ ছাড়া রেডিয়ামে শহীদ তাজউদ্দীনের একাধিক ডাক্তারও সন্ধ্যার পর বসে। ফলে কমিশন ভাগাভাগিতে কোন সমস্যা হয় না।
সূত্র জানায়, সংশ্লিষ্ট ডাক্তার, নার্স, দালাল সহ যারা রোগী পাঠায় তাদের কমিশন দিতে হয়। মাসিক, সাপ্তাহিক ও দৈনিক ভিত্তিতে কমিশন দেয়া হয়। খামে করে কমশিন প্রদান করা হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে মাসে কমপক্ষে দুই কোটি টাকা কমিশন দিতে হয় রেডিয়ামকে।
চলবে–