গাজীপুর: গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় এক কলেজ ছাত্রী ধর্ষন মামলার সকল আসামী গ্রেফতার করতে না পারায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কাউন্সিলর গাজীপুর জেলা শাখা।
বিবৃতিতে সংগঠন জানায়, ধর্ষনের অনেক পর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন ও সকল আসামী গ্রেফতারে পুলিশের অপারগতা দুঃখজনক। নিবিড়ভাবে ঘটনাটি পর্যবেক্ষন করা হচ্ছে জানিয়ে সংগঠন জানায়, এই মামলায় ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে মানববন্ধন, প্রশাসনিক চিঠি ও প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের স্বরনাপন্ন গতে হবে।
উল্লেখ্য কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ করার অভিযোগে মেহেদী হাসান রাব্বি(২০)নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে শ্রীপুর থানা পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উভয়েই মাওনা চৌরাস্তার উড়াল সেতুর উপর তারা কথা কাটাকাটি করেন, কিন্তু তরুনটি বিয়ের ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানালে তরুণীটি একটি গাড়ির নিচে ঝাঁপ দেয় তবে গাড়ীর চালকের দক্ষতায় সে প্রাণে বেঁচে যায়। এ ঘটনা স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পাশেই মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ওই ছাত্রী ও ধর্ষকে আটক করে। অত:পর রাতে শ্রীপুর থানার এসআই খাইরুল ইসলাম তরুণীর বাবার অভিযোগে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
ছাত্রীর বাবার অভিযোগে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়, পরে যৌন নিপীড়নের শিকার ওই কলেজ ছাত্রীর পিতার অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে গ্রেপ্তার মেহেদী হাসান কে শনিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে প্রেরণ করে শ্রীপুর থানা পুলিশ। গ্রেফতার তরুণ মেহেদী হাসান রাব্বি (২০) শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
যৌণ নিপিড়নের শিকার তরুণীর স্বজনদের বরাত দিয়ে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই)খাইরুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার তরুণ ও যৌন হয়রানীর শিকার তরুণীর বাড়ি একই গ্রামে, তরুণীটি গাজীপুরের একটি কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। উভয়ের বাড়ি একই গ্রামে হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
পরে অভিযুক্ত তরুণ তাঁর আরো দুই বন্ধুকে সাথে নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার তরুণীকে ধর্ষণ করে, এরই এক পর্যায়ে তরুণীটি গর্ভধারণ করলে অভিযুক্ত তরুণটি তার বিভিন্ন বন্ধুদের সহায়তায় তরুণীর গর্ভপাত ঘটায়। তিনি আরো জানান, মেয়ের বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয় পরে গ্রেপ্তার তরুণকে দুপুরের দিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।