যুক্তরাষ্ট্রের ছোট বড় সকল পত্রিকা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একের পর এক আক্রমণের পাল্টা জবাব হিসেবে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্ব দিয়ে সমন্বিত প্রচারণামূলক সম্পাদকীয় প্রকাশ শুরু করেছে।
এই প্রচারণার পুরোভাগে আছে দ্য বোস্টন গ্লোব।
‘এনেমি অব নান’ এই হ্যাশট্যাগ নিয়ে তারা তাদের যে প্রচারণা শুরু করেছে তাতে যোগ দিয়েছে দুশ’রও বেশি পত্রিকা।
গ্লোব সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, আজ যুক্তরাষ্ট্রের সকলে যাকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেয়েছি যিনি এমন এক মন্ত্র সৃষ্টি করেছেন যাতে বলা হচ্ছে যেসব গণমাধ্যম কর্মী বর্তমান প্রশাসনের নীতিকে সমর্থন করেন না তারা জনগণের শত্রু।
‘সাংবাদিকরা শত্রু নয়’ শিরোনামে এতে আরো বলা হয়, ‘এটা আমাদের বিরুদ্ধে প্রেসিডেন্ট যে বহু মিথ্যা অভিযোগ করেছেন তার একটি। তিনি প্রাচীনকালের জাদুকরদের মতো মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছেন, যারা হাতের কারসাজির মাধ্যমে উৎসুক মানুষের ভিড়ে ধূলা বা পানি ছুঁড়ে মারতেন। ’
গ্লোব আরো জানায়, ট্রাম্পের এসব আচরণে রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানও সাংবাদিকদের সাথে শত্রুর মতো ব্যবহার করতে উৎসাহিত হচ্ছেন।
মূলধারার পত্রিকাগুলো ট্রাম্পকে নিয়ে ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রকাশ করে বলে তার অনড় ও অব্যাহত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ট্রাম্পের ওপর পাল্টা আঘাতটি এলো।
ট্রাম্পের সমালোচনা করে প্রায়ই আক্রমণের শিকার হওয়া নিউইয়র্ক টাইমস বড় বড় অক্ষরে হেডলাইন করেছে ‘এ ফ্রি প্রেস নিডস ইউ’। এটি মাত্র সাতটি অনুচ্ছেদের এবং এতে বলা হয়েছে, সংবাদপত্রের ভুলের সমালোচনার অধিকার কেবলমাত্র জনগণের রয়েছে।
তবে এ পদক্ষেপের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ইউএসএ টুডের সাবেক এডিটর ইন চিফ কেন পলসন।
তিনি বলেন, যারা সম্পাদকীয় পড়েন তাদের মাঝে এ প্রচারণার প্রয়োজন নেই। বরং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার গুরুত্ব নিয়ে দরকার আরো বড় ধরনের প্রচারণা।