প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টার থেকে পদ্মা সেতুর অগ্রগতি দেখলেন

Slider ফুলজান বিবির বাংলা

ঢাকা: হেলিকপ্টার থেকে পদ্মা সেতুর কার্যক্রমের অগ্রগতি দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা। সেখান থেকে ঢাকা ফেরার পথে তিনি পদ্মা সেতুর অগ্রগতি দেখেন।

হেলিকপ্টারে বসা প্রধানমন্ত্রীর ওই ছবিটি তুলেছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর ইলিয়াস রাসেল।

ছবিটি নিজের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছেন ফটো সাংবাদিক ইয়াসিন কবির জয়।

তিনি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ‘প্রমত্তা পদ্মায় গর্বিত এক বাংলাদেশ!’ শিরোনামে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে লিখেছেন-

বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রতীক পদ্মা সেতু। দেশি-বিদেশি কুচক্রী মহলের হাজারো কূটপরিকল্পনা পায়ে দ’লে ক্রমশ দীর্ঘ হচ্ছে স্বপ্নের এই সেতু। যেন প্রমত্তা পদ্মায় মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে দূরন্ত এক বাংলাদেশ। আর তাই দেখে আবেগে আপ্লুত বঙ্গবন্ধুকন্যা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ অর্পণ করতে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোটবোন শেখ রেহানা।

ঢাকা ফেরার পথে তিনি হেলিকপ্টার থেকে পদ্মা সেতুর কার্যক্রমের অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেন। তাঁর মুখাবয়বে ফুটে ওঠে আত্মবিশ্বাসের ছাপ।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিয়ারে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যানটি বসানো হয়। চলতি বছরের ২৮ জানুযারি ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিয়ারে দ্বিতীয় এবং ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিয়ারের ওপর তৃতীয় স্প্যান স্থাপন করা হয়। ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর খুঁটির ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হয়। সর্বশেষ ২৯ জুন পদ্মা সেতুর পঞ্চম স্প্যান বসায় সেতুর মূল কাঠামোর ৭৫০ মিটার অংশ দৃশ্যমান হয়েছে।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসবে ৪১টি স্প্যান। পদ্মা বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।

২০১২ সালের ১০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর কাজ শুরু নির্দেশ দেন। ওই সময় প্রস্তুতিমূলক কাজ দ্রুত শেষ করতে নির্দেশ দেন তিনি। এরপর ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর মূল সেতুর কার্যক্রম শুরু করা হয় নিজেদের অর্থায়নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *