জিম্মি শহীদ তাজউদ্দীন-২: কানে তুলা! কেউ ‍শুনেনা আর্তচিৎকার।

Slider টপ নিউজ বাংলার মুখোমুখি

গাজীপুর: শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে না কেউ। কারো চিৎকার কেউ শুনে না। মনে হয় সকলের কানে তুলা দিয়ে রাখা হয়েছে। এই ধরণের আর্তচিৎকার চারপাশে যারা শুনেন, তারা শুধুই শুনেন। তারপর নীরবে চলে যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অভিযোগ শুনার অনাগ্রহ, এই হাপসাতালে দূর্নীতি ও অনিয়মের ঘোড়াকে ধাপিয়ে দৌঁড়াতে উৎসাহ জোগাচ্ছে। ফলে অনিয়মের ঘোড়ার গলায় ঘন্টা বাঁধার লোক প্রায় অদৃশ্য। এই অবস্থা চলমান থাকলে অচিরেই ঐতিহ্যবাহী শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপর থেকে সাধারণ মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস উঠে পড়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কোন রোগী আসলে হাসপাতাল গেটে ভীড় হয়ে যায়। দালালরা রোগীর উপর হামলে পড়ে। কোন দালালের অধীন রোগীর চিকিৎসা হবে সেটা নির্ধারণে হিমশিম খেতে হয় রোগী ও তার লোকজনকে। তেব কোন দালাল না ধরলে জরুরী বিভাগে রোগী দেখতে ডাক্তারও আসে না। যতক্ষন পর্যন্ত কোন দালাল রোগীর তদারকি শুরু না করবে, ততক্ষন শুরু হয়না জরুরী বিভাগের সেবা।

ভূক্তভোগীরা জানান, হাসপাতালে রোগী আনার পর দালালের উৎপাত নিয়ে কেউ কোন কথা বলেন না। কারণ দালালরা এতই শক্তিশালী যে, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে অভিযোগকারীর ১২ট বেজে যায়। এই ধরণের একাধিক অভিযোগকারী দালালদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন অসংখ্যবার। সূত্র বলছে, কোন রোগীর লোকজন দালালদের কাছে জিম্মি হতে বাধ্য হতে হয়। কারণ বেশীরভাগ রোগীই থাকে মুমূর্ষ। তাই টাকার দিকে নজর না দিয়ে চিকিৎসার দিকেই নজর দিতে হয় সঙ্গত কারণে। ফলে নীরবে নিভৃতে দালালদের হাতে জিম্মি হয়ে যায় রোগী।

শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি গোপন সূত্র জানায়, দালালরা ডাক্তার ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি সুসম্পর্ক তৈরী করে রাখেন। ফলে কোন ভূক্তভোগীর অভিযোগ শুনেও না শুনার ভান করে কর্তৃপক্ষ।

চলবে–

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *