ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পুলিশকে কুপিয়ে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ছয় নারীসহ ১৫জন আটক হয়েছে।
তাদের বুধবার রাতে আটকের পর মুক্তাগাছা থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ অতিরিক্ত পুলিশ এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে।
মুক্তাগাছা থানার ওসি কামাল হোসেন আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আটককৃতদের মধ্যে মমতা নামের এক নারী ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি বাবলুর স্ত্রী।
তিনি জানান, ময়মনসিংহের সদর সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার আঃ হামিদের নেতৃত্বে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান এখনো চলছে।
ওসি আরো জানান, আসামি ছিনতাইয়ের পর বুধবার সন্ধ্যা থেকে পুলিশ জোরালো অভিযান শুরু করে করে পরাধীদের ধরতে। রাত ১০টা পর্যন্ত তারা চাঁনপুর ও আশপাশের এলাকা থেকে ১৫ জনকে আটক করেছে।
এর আগে দুপুরে মুক্তাগাছা থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক রেজানূর রহমান ও শাহীনুর ইসলাম উপজেলার ঘোগা ইউনিয়নের চাঁনপুর এলাকায় হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতিসহ ৭৮ মামলার কুখ্যাত আসামি বাবলু মিয়া, আবদুল্লাহ, শেকবর আলী, চেঙ্গু, কুদ্দুস ও হযরত আলীকে ধরতে তাদের বাড়িতে হানা দেয়।
এদের মধ্যে বাবলুকে ধরে নিয়ে আসার সময় বাড়ির লোকজন দা, লাঠি, কুড়াল, খন্তি নিয়ে পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুই পুলিশ অফিসারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়।
এ খবর মুক্তাগাছা থানায় পৌছলে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গুরুতর আহত দুই পুলিশ অফিসারকে উদ্ধার করে প্রথমে মুক্তাগাছা ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর।
প্রসঙ্গত, যে আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে তার সহযোগিরা তার নাম নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। প্রথমে তার নাম বলা হয়েছিল আবদুল্লাহ। পরে পুলিশ একবার তার নাম বাবুল মিয়া আবার পরে জুলহাস বলে জানায়। তবে সর্বশেষ মুক্তাগাছার থানার ওসি বলেছেন আসামির নাম বাবুল মিয়া।