ভুয়া রেজিস্ট্রেশন দেখিয়ে বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আসেনি। আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর মামলার প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে।
রবিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম (এসিএমএম) আসাদুজ্জামান নূর ওই দিন ধার্য করেন। এ মামলার অপর তিন আসামি হলেন মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আইয়ুব আলী আনছারী ও মেসার্স অটো ডিফাইন নামের গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমান।
মামলায় বলা হয়, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা একটি রেঞ্জ রোভার জিপ দীর্ঘদিন ধরে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন মুসা বিন শমসের। বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আইয়ুব আলী আনছারীর সহায়তায় ফারুক-উজ-জামান চৌধুরীর নামে গাড়িটি ভুয়া রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এতে দুই কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়।
গত ২১ মার্চ ধানমন্ডির একটি বাড়ি থেকে গাড়িটি উদ্ধার করে শুল্ক গোয়েন্দা। এরপর মুসা বিন শমসের ও ফারুক-উজ-জামান চৌধুরীকে তলব করা হয়। কিন্তু মুসা অসুস্থ রয়েছেন দাবি করে সময় চান। অন্যদিকে নিরুদ্দেশ হন ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী।
পরে এ বিষয়ে মুসা বিন শমসেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মুসা জানান, ফারুক চৌধুরী তাঁর আত্মীয়। গাড়িটি তিনি ভাড়ায় ব্যবহার করছেন। এটি অটো ডিফাইন নামের একটি গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে তিনি কিনেছেন। এর আগে অটো ডিফাইন কিনেছে লন্ডন প্রবাসী ফরিদ নাবির নামে এক বাংলাদেশির কাছ থেকে। তবে এর স্বপক্ষে কাগজপত্র দেখাতে পারেননি মুসা বিন শমসের।
রেঞ্জ রোভার গাড়ির শুনানিকালে মুসা তাঁর বক্তব্যে জানান, সুইস ব্যাংকে তাঁর ১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (৯৬ হাজার কোটি টাকা) আটকা পড়ে আছে। কিন্তু এই টাকার হিসাবের স্বপক্ষে বা এই টাকার উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ও নোটিশ দিলেও তিনি এ বিষয়ে গ্রহণযোগ্য তথ্য দিতে পারেননি। ফলে এই টাকার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে, যা গভীরভাবে তদন্ত করা প্রয়োজন।
গত বছরের ৩১ জুলাই গুলশান থানায় মুসাসহ চারজনকে আসামি করে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা করেন।